গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার সমান। সংখ্যালঘুরা কোনো বিচ্ছিন্ন জনজাতি নয় বা বহিরাগত নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠদের যেমন সব কথা শোনা হয়, ঠিক একইভাবে সংখ্যালঘুদের বক্তব্যও শুনতে হবে। এমনই মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
শনিবার উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি। অনুষ্ঠানটি ছিল সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার পিতা প্রয়াত বিচারপতি কেশব চন্দ্র ধুলিয়ার স্মরণ সভা। সেখানে স্মারক বক্তৃতা রাখতে গিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং সংখ্যালঘুর প্রসঙ্গ তোলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
প্রধান বিচারপতি মূলত 'গণতন্ত্র, বিতর্ক ও ভিন্নমত' বিষয়ে বক্তব্য রাখছিলেন। তখনই তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংখ্যাগরিষ্ঠের জন্য তো রাস্তা খোলাই থাকবে কিন্তু সংখ্যালঘুদের কথা শুনতেই হবে। সকলের উচিত সামাজিক সম্প্রীতি বজায় রাখা। গণতন্ত্রে ভিন্ন মত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার জন্য সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করা হবে সেটা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, "ক্ষমতাসীনকে সব সময়ই প্রশ্ন করতে জানতে হবে। সমাজ যদি প্রশ্ন না করতে পারে তাহলে আমি মনে করি সেই সমাজ ব্যর্থ। সকলের মত নিয়েই তো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়। যেমন অতীতে নারীশিক্ষা, দাসপ্রথা, জাতপাত সবকিছুতেই সমাজের এক শ্রেণির মানুষ ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন বলেই সমাজে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। গণতন্ত্রে কাউকে উপেক্ষা করা যায় না।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন