Mid day Meal: দু’বছর পর মিড ডে মিলে বরাদ্দ কত বাড়লো? এই অর্থে কীভাবে পুষ্টিকর খাদ্য? উঠছে প্রশ্ন

People's Reporter: দু’বছর পর মিড ডে মিলে বরাদ্দ বৃদ্ধি করল কেন্দ্র। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নয়া মূল্য কার্যকর হবে।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীছবি - সংগৃহীত
Published on

শেষ বার ২০২২ সালে মিড ডে মিলে বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র। দু’বছর পর মিড ডে মিলে বরাদ্দ বৃদ্ধি করল কেন্দ্র। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নয়া মূল্য কার্যকর হবে। তবে সেই বরাদ্দের পরিমাণ সীমিত। আর যা নিয়ে শিক্ষামহলের একাংশ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, বাজারে জিনিসপত্রের যা দাম, তাতে এই সামান্য বরাদ্দে শিশুরা কীভাবে পুষ্টিকর খাবার পাবে?

ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। দেবারতি বাসুলি নামক এক নেটিজেন এই প্রসঙ্গে তাঁর ফেসবুক পোষ্টে লিখেছেন - "প্রাথমিকের শিশুদের মিড্ ডে মিল বরাদ্দ বাড়লো ছাত্র প্রতি ৭৪ পয়সা .... অর্থাৎ ৫০ জন ছাত্রের বরাদ্দ ৩০.৫ টাকা ۔۔۔۔ এক্কেবারে ভরপুর পুষ্টি কি বলেন ۔۔۔এইভাবে চলতে পারে না। হয় ক্লাস্টার কিচেন চালু করুন, নইলে কম ছাত্রের স্কুলের জন্য বিশেষ রেট চালু হোক।"

বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা মন্ত্রকের অধীন পিএম পোষণ বিভাগের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, সরকারি এবং সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের মাথা পিছু বরাদ্দ ৬ টাকা ১৯ পয়সা এবং ষষ্ট থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের মাথা পিছু বরাদ্দ ৯ টাকা ২৯ পয়সা। ২০২২ সালে যে সংখ্যাটি ছিল যথাক্রমে ৫ টাকা ৪৫ পয়সা এবং ৮ টাকা ১৭ পয়সা।

কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষিত নীতি অনুসারে সাধারণভাবে জম্মু-কাশ্মীর সহ কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলগুলি (দিল্লি ও পুদুচেরি ছাড়া) এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি বাদে সব রাজ্যকেই এই অর্থের ৪০ভাগ দিতে হয়। বাকি ৬০ভাগ টাকা কেন্দ্রীয় অনুদান হিসাবে সে রাজ্য পেয়ে থাকে।  

দু’বছর পর দুই খাতে যথাক্রমে ৭৪ পয়সা এবং ১ টাকা ১২ পয়সা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই নিয়ে খুশি নয় শিক্ষামহলের একাংশ। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যেভাবে বাজারে জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে শিশুরা পুষ্টিকর খাবার পাবে তো?

পি এম পোষণ বিভাগের সার্কুলার
পি এম পোষণ বিভাগের সার্কুলার ছবি সার্কুলার থেকে স্ক্রীনশট

নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি (এবিটিএ) –এর সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন বুধবার এই প্রসঙ্গে বলেন বলেন, ‘এই মূল্য কোনোভাবেই যথাযথ নয়। বাজার অনুযায়ী প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম পর্যন্ত মাথাপিছু অন্তত ১০ টাকা এবং ষষ্ঠ থেকে অষ্টম পর্যন্ত মাথাপিছু অন্তত ১৫ টাকা করা উচিত।‘

তিনি আরও জানান, অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র হাতে গোনা পড়ুয়া আছে। সেখানে ১০ টাকাও যথেষ্ট হবে না। সেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষকদের ব্যক্তিগতভাবে ব্যয় করতে হয়। তাই সরকারকে এদিকে নজর দিতে হবে। সংগঠনের দাবি, কেন্দ্র এই বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা করুক।

অন্যদিকে, এই নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ‘যখন এই বরাদ্দ ৪-৫ টাকার মধ্যে ছিল, তখন রাজ্যে দিকে দিকে মিড-ডে মিলের টাকা চুরি, চাল চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এখন টাকা বাড়ছে, ফলে খাবারের মান কতটা উন্নত হবে বলতে পারছি না, কিন্তু ওদের ‘উন্নয়ন’ হবেই।‘

প্রশ্ন উঠছে, বাজারে এখন একটা ডিমের দাম প্রায় ৭ টাকা। স্কুলে সপ্তাহে একদিন পড়ুয়াদের অন্তত একটি করে ডিম দেওয়ার কথা। সেখানে এই মূল্যে কিভাবে পুষ্টিকর খাদ্যের জোগাদ দেওয়া হবে? বাজার মূল্য বিবেচনা করে প্রতি বছর মিড-ডে মিলে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে, প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন, এএসএফএইচএম। তাঁদের বক্তব্য, ‘গত কয়েক বছর ধরে মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়েনি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি আকাশছোঁয়া হয়েছে। সে তুলনায় বরাদ্দ বৃদ্ধি অতি নগণ্য।‘

ছবি প্রতীকী
৫০০-র জাল নোট বৃদ্ধি ৩০০%, বেড়েছে ২০০০-এর জাল নোটও, সংসদে তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই ছড়াচ্ছে উদ্বেগ
ছবি প্রতীকী
Maharashtra: শিন্ধেকে মুখ্যমন্ত্রী করে মন্ত্রিসভার অর্ধেকের বেশি পদ দখলে রাখতে পারে বিজেপি!

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in