শ্রাবণ মাসের শেষ সোমবার উপলক্ষ্যে শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল সাত জন পূণ্যার্থীর। আহত প্রায় ৩৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের জেহনাবাদ জেলার বাবা সিদ্ধেশ্বর নাথ মন্দিরে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিহারের অন্যতম জনপ্রিয় শিবমন্দির জেহনাবাদ জেলার সিদ্ধেশ্বর মন্দির। রবিবার রাতে শিব পুজো উপলক্ষ্যে ওই মন্দিরে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়েছিল। পূণ্যার্থীদের অভিযোগ, মন্দিরে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ভাল ছিল না। স্থানীয়রাই ভলান্টিয়ার হিসাবে ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন। একসময় ভিড় বেড়ে যাওয়ায় পূণ্যার্থীদের তাড়া দেন ভলান্টিয়ার। এমনকি লাঠি চালানোর অভিযোগও ওঠে। পূণ্যার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। বেরোতে গিয়ে পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার। তাঁদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সাত পূণ্যার্থীর। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পদপিষ্টের ঘটনায় আহত অন্তত ৩৫ জন পূণ্যার্থী। আহতদের জেহনাবাদ এবং মাখদুমপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেহানাবাদের মহকুমা আধিকারিক (এসডিও) বিকাশ কুমার। তিনি জানিয়েছেন, “এমন কিছু ঘটেনি। এটি একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ফোর্স (এনসিসি), সিভিল ডেপুটেশন এবং মেডিকেল টিম সহ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ময়নাতদন্তের পরে আমরা আরও বিস্তারিত জানাব।"
এই ঘটনায় এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে সোমবার সকালে জেলাশাসক অলংকৃতা পাণ্ডে জানিয়েছেন, আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন