R G Kar Hospital Case: মহিলা চিকিৎসক খুনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চিকিৎসকদের, ব্যাহত বহু পরিষেবা

People's Reporter: অন্যদিকে এই ঘটনার জেরে পদত্যাগ করেছেন আরজি করের প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষ। তিনি জানান, আমার ইস্তফাই ছাত্রছাত্রীরা চেয়েছিল। আশা করব ছাত্রছাত্রী এবং জুনিয়র চিকিৎসকেরা কাজে ফিরবেন।
R G Kar Hospital Case: মহিলা চিকিৎসক খুনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চিকিৎসকদের, ব্যাহত বহু পরিষেবা
ছবি - সংগৃহীত
Published on

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ট্রেনি মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদে নেমেছে চিকিৎসক মহল। হাসপাতালগুলির একাধিক পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

এর আগেই কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা পথে নেমেছিলেন। নিহত চিকিৎসকের ন্যায় বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন তাঁরা। সোমবার দেশজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। যার জেরে হাসপাতালের বহু পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।

অন্যদিকে এই ঘটনায় লাগাতার বিক্ষোভের জেরে পদত্যাগ করেছেন আরজি করের প্রিন্সিপ্যাল সন্দীপ ঘোষ। তিনি জানান, "আমার ইস্তফাই ছাত্রছাত্রীরা চেয়েছিল। আশা করব, এবার ছাত্রছাত্রী এবং জুনিয়র চিকিৎসকেরা কাজে ফিরবেন। ওই মেয়েটির মৃত্যুতে আমাকে দোষী করা হচ্ছে"।

প্রসঙ্গত, ৯ আগস্ট আর জি করের সেমিনার হল থেকে ট্রেনি চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই মৃতের পরিবারের তরফ থেকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ তোলা হয়। কিন্তু পুলিশ প্রথমে তা খারিজ করে এই ঘটনাকে আত্মহত্যার চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে জানা যায়, মৃতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতের চিহ্ন মিলেছে। পেটে, আঙুলে, ঠোঁটে, যৌনাঙ্গে ক্ষত রয়েছে। গলার হাড়ও ভেঙেছে। যৌন নির্যাতনের পর কোনও কিছু দিয়ে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় ওই চিকিৎসককে, এটা কার্যত স্পষ্ট। এই ঘটনায় এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, অপরাধ স্বীকার করেছেন তিনি।

R G Kar Hospital Case: মহিলা চিকিৎসক খুনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চিকিৎসকদের, ব্যাহত বহু পরিষেবা
RG Kar Hospital Case: লাগাতার বিক্ষোভের জেরে ইস্তফা আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in