
বুধবার মধ্যরাতে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৫ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয় লোকসভায়। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন ঘোষণার বিষয়ে একটি বিধিবদ্ধ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। রাত ২টো নাগাদ শাহ বিধিবদ্ধ প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং তারপরে আলোচনা হয়। ৪০ মিনিটের আলোচনার পর ধ্বনি ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়।
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেন, মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারিকে সমর্থন করে কংগ্রেস। তবে এই অঞ্চলে "শান্তি ও স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার" করার জন্য এটি ব্যবহার করা উচিত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করেননি।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যের অস্ত্রাগার থেকে প্রায় ৬০,০০০ অস্ত্র এবং ৬,০০,০০০ এরও বেশি গোলাবারুদ লুট করা হয়েছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আইনের শাসন নেই। রাষ্ট্রপতি শাসনকে তাই সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করা উচিত।
যদিও অমিত শাহ জবাবে বলেন, “রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দুই মাসের মধ্যেই আমরা শান্তি ফেরানোর ঘোষণা করেছি। দয়া করে একত্রিত হোন, এটিকে সমর্থন করুন এবং মণিপুরে শান্তি ফিরিয়ে আনুন। সরকার শান্তি পুনরুদ্ধার এবং ক্ষত নিরাময়ের জন্য কাজ করছে।”
জাতিগত সংঘর্ষের ঘটনা মোকাবিলায় সরকার ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে, একথা অস্বীকার করে শাহ বলেন, "আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি। হাইকোর্ট যেদিন আদেশ জারি করেছে, সেদিনই সরকার নিরাপত্তা বাহিনীকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দিয়েছিল। অশান্তি রুখতে সমস্ত রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল।"
পাশাপাশি অমিত শাহ জানান, "আমি আমাদের সরকারের আমল বা বিরোধীদের আমলের সাথে তুলনা করতে চাই না। আমার মতে, একটিও ঘটনা ঘটা উচিত নয়। কেন্দ্র হিংসা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে এই বক্তব্য ভুল। আগেও সংঘর্ষ হয়েছিল। ৫-১০ বছর ধরে চলেছিল। আমি কেবল বিরোধীদের কাছে অনুরোধ করছি যে তারা সংঘর্ষের রাজনীতি না করুক। এগুলো সন্ত্রাসবাদ বা দাঙ্গা নয়, বরং জাতিগত সংঘর্ষ"।
আলোচনা চলাকালীন, ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি করুণানিধি বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি বলেন, “বিরোধীরা মণিপুর নিয়ে আলোচনার দাবি তুলেছে বহুবার। কিন্তু তখন কারুর সময় হয়নি। আর এখন রাত ২টোর পরে আপনি সেই দিনটি বেছে নিয়েছেন আলোচনার জন্য! আপনার কি আদৌ সেই রাজ্যের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা আছে?"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন