

ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো মণিপুর। সন্দেহভাজন জঙ্গি হামলায় মণিপুর পুলিশের এক কমান্ডোর মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ৩ জন নিরাপত্তা রক্ষী গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মণিপুরের মোরেহতে অঞ্চলে। মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলটি রাজধানী ইম্ফল থেকে ১১০ কিমি দূরে অবস্থিত। বুধবার আচমকাই নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় সশস্ত্র জঙ্গি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় পুলিশ কমান্ডো ওয়াংখেং সমরজীৎ-র।
পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৩ জন আহত নিরাপত্তারক্ষীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়। বাকি নিরাপত্তারক্ষীরা আহত ৩ জনকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঠিক সেই সময় তাঁদের বাধা দেয় বেশ কয়েকজন উপজাতি সম্প্রদায়ের বাসিন্দা। যার মধ্যে মহিলারাও ছিলেন। পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে তাঁদের। এক উপজাতি মহিলা নিহত হন। বেশ কয়েকজন আহতও হন।
ইম্ফল পুলিশ জানিয়েছে, টেংনৌপাল জেলায় কমান্ডো ওয়াং সোমরজিৎ বাহিনী নিয়ে সমস্ত গাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। সেই সময়ই তাঁদের ওপর আক্রমণ চালানো হয়। এছাড়া ওই এলাকায় আরও ৩ জায়গায় সেনা জঙ্গির গুলির লড়াই হয়েছে। এখনও এলাকাগুলি থমথমে হয়ে আছে। সেনা বাহিনী এবং আসাম রাইফেলস ঘটনাস্থালে আছে। আপত্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে টেংনোপাল জেলায় কার্ফু জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, গত বছর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক চিংথাম আনন্দ খুনের ঘটনায় সোমবার মোরেহ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি নেতা হেমখোলাল মাতে এবং প্রাক্তন সেনা ফিলিপ খাইখোলাল খংসাইকে। মঙ্গলবার আদিবাসীরা বিক্ষোভ দেখায় ওই দু'জনের মুক্তির দাবিতে। আবার ইম্ফলে ওই দুই ধৃতকে কঠিন শাস্তি দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে মোরেহেতে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন মণিপুর পুলিশ কমান্ডো এং বিএসএফ-র জওয়ানরা আহত হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন