

দিন প্রতি পারিশ্রমিক ২০০ টাকা। এর বিনিময়েই ভারতের উপকূলের গোপন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিচ্ছিলেন যুবক। অর্থাৎ এককথায় পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছিলেন। গুজরাট উপকূল থেকে সেই যুবককে গ্রেফতার করল গুজরাতের সন্ত্রাস দমন শাখা (এটিএস)। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য সংগ্রেহের চেষ্টা করছে।
গুজরাটের ওখার বাসিন্দা দীপেশ গোহিল। গুজরাটের দ্বারকায় একটি সংস্থায় শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, ফেসবুকে অসীমা নামের এক মহিলার সঙ্গে কিছু দিন আগে পরিচয় হয় তাঁর। পাকিস্তানের নৌবাহিনীর আধিকারিক হিসেবে তিনি পরিচয় দেন। তাঁর কাছেই ভারতের উপকূলরক্ষী বাহিনীর গোপন তথ্য পাঠাতেন দীপেশ।
তদন্তকারী আধিকারিকরা আরও জানিয়েছেন, ওখার বাসিন্দা হওয়ায়, ওখা বন্দরে যাতায়াত ছিল দীপেশের। সেখানেই উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজগুলোর ছবি এবং ভিডিও তুলে ওই মহিলাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাতেন তিনি। তার বিনিময়ে দিনে ২০০ টাকা করে পেতেন তিনি।
তদন্তকারীদের দাবি, উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ কখন কোথায় যাচ্ছে, সেই তথ্য পাকিস্তানে পাচার করতেন অভিযুক্ত। জাহাজগুলির গতিবিধির ভিডিয়ো রেকর্ড করতেন। এক কথায় পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করতেন দীপেশ।
এটিএস আরও জানিয়েছেন, দীপেশের নিজের কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল না। এক বন্ধুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকত তাঁর পারিশ্রমিক। পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই বন্ধুর হয়ে তিনি কিছু কাজ করে দিয়েছেন। তার পারিশ্রমিক নিয়েছেন। মোট ৪২ হাজার টাকা পাকিস্তান থেকে তাঁর জন্য পাঠানো হয়েছিল। যুবককে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন