Farmers Movement: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই ফের আমরণ অনশনে বসার ঘোষণা কৃষক নেতা দালেওয়ালের

People's Reporter: দালেওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার নামে আসলে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার তাঁকে খানৌরি সীমান্ত থেকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
সাংবাদিক সম্মেলনে জগজিত সিং দালেওয়াল
সাংবাদিক সম্মেলনে জগজিত সিং দালেওয়ালছবি দ্য ট্রিবিউন থেকে সংগৃহীত
Published on

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই আবারও আমরণ অনশনে বসার সিদ্ধান্তে অটল রইলেন পাঞ্জাবের কৃষক নেতা জগজিত সিং দালেওয়াল। শুক্রবার সন্ধ্যেয় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (নন পলিটিক্যাল)-র প্রধান হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। এর আগে তাঁকে খানৌরি সীমান্ত অঞ্চল থেকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে লুধিয়ানার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গতকাল ছাড়া পাবার পর কৃষক নেতা বলেন, যতদিন না কৃষকদের দাবি মেটানো হবে ততদিন তিনি অনশন চালিয়ে যাবেন।

গতকাল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার সময় তাঁকে নিতে আসনে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার শীর্ষ নেতা সারওয়ান সিং পান্ধের। ছাড়া পাবার পর দালেওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার নামে আসলে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার তাঁকে খানৌরি সীমান্ত থেকে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।

এই প্রসঙ্গে সারওয়ান সিং পান্ধের জানিয়েছেন, দালেওয়ালকে জোর করে খানৌরি সীমান্ত থেকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছিল কারণ তিনি পাঞ্জাবের ভগবত সিং মান সরকারের পুলিশ বাহিনীর সমালোচনা করেছিলেন।

যদিও পুলিশের বক্তব্য অনুসারে, মূলত দালেওয়ালের আমরণ অনশনে বসার ঘোষণার পর তাঁর বয়স এবং স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে দালেওয়ালের দাবি, হাসপাতালে থাকাকালীন তাঁকে তাঁর মোবাইল ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে তাঁকে কোনোরকম পরীক্ষা করা হয়নি বা কোনও চিকিৎসক তাঁকে দেখতে আসেননি।

সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা (নন পলিটিক্যাল)-এর প্রধান দালেওয়াল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “যেহেতু আমি কৃষকদের স্বার্থে অনির্দিষ্টকালের অনশন শুরু করার ঘোষণা করেছিলাম, আমি হাসপাতালেও কিছু খাইনি। সরকারের নির্দেশে পুলিশ কর্মকর্তা এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা আমাকে আমাকে অনশন ভাঙার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু আমি অনশন ভাঙিনি। আমি এখন খানৌরি যাচ্ছি এবং সেখানে আমার অনশন চালিয়ে যাব।”

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের ভবিষ্যৎকর রক্ষা করার জন্য লড়াই চালাচ্ছি। আমি আবার খানৌরি সীমান্তে যাবো এবং আমার পূর্ব ঘোষণা মত আমরণ অনশনে বসব। যতক্ষণ পর্যন্ত না কৃষকদের দাবি মেটে ততক্ষণ অনশন চালিয়ে যাবো।

খানৌরি সীমান্তে এখনও আন্দোলন চালাচ্ছেন কৃষকরা। শনিবারই কৃষক নেতা সুখজিত সিং হরদোজহান্ডের আমরণ অনশন চতুর্থ দিনে পড়েছে। মঙ্গলবার দালেওয়ালকে পুলিশ তুলে নিয়ে যাবার পর সুখজিত সিং অনশনে বসেন। সাংবাদিকদের তিনি জানান, কৃষকদের দাবি আদায়ের সংগ্রামে তিনি জীবন দিতে প্রস্তুত।

কৃষকদের বক্তব্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের সঙ্গে কোনও আলোচনায় বসেনি। সরকারের উচিত অবিলম্বে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে তাদের দাবির সমাধান করা। ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষকদের মিছিল খানৌরি এবং শম্ভু সীমান্তে আটকে দেবার পর থেকে তাঁরা সেখানেই অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইতিমধ্যেই সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে কৃষকদের দাবি মেটানোর জন্য আন্দোলনে আরও জোর দেবার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এবং কিষাণ মজদুর মোর্চা।

সাংবাদিক সম্মেলনে জগজিত সিং দালেওয়াল
Winter Session: সংসদের অধিবেশন মুলতুবিতে ক্ষুব্ধ ধনখড়, সরকার কেন আটকাচ্ছে না - প্রশ্ন জয়রামের
সাংবাদিক সম্মেলনে জগজিত সিং দালেওয়াল
Tamil Nadu: LIC-র ওয়েবসাইটকে হিন্দি প্রচার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার! বিস্ফোরক অভিযোগ স্ট্যালিনের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in