
এলআইসি-র ওয়েব সাইটকে হিন্দি প্রচার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। এমনকি ভাষা হিসেবে ইংরাজী বাছাই করার অপশনে ক্লিক করলেও হিন্দি ভাষায় সমস্ত কিছু দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ ডিএমকে প্রধানের। যদিও বীমা সংস্থা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এক্স মাধ্যমে এম কে স্ট্যালিন জানান, 'এলআইসি-র ওয়েবসাইটকে এখন হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার ( Hindi Imposition) প্রচার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি ইংরাজী বাছাই করার অপশনে ক্লিক করলেও হিন্দি ভাষায় সমস্ত কিছু দেখাচ্ছে। এটা ভারতের বৈচিত্র্যকে পদদলিত করে। অন্য সংস্কৃতি ও ভাষা চাপিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। সমস্ত ভারতীয়র সহযোগিতার ফলেই এলআইসি বেড়েছে। এলআইসি কিভাবে তার অবদানকারীদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার সাহস পায়? আমরা এই ভাষাগত অত্যাচারের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাই'।
তামিলনাড়ু বিজেপির সহ-সভাপতি নারায়ণন তিরুপতিও এলআইসি-র ওয়েবসাইট দেখে অসন্তুষ্ট হয়েছেন। তিনি বলেন, আমি বীমা সংস্থাকে অনুরোধ করছি হিন্দিতে থাকা পেজটি সরিয়ে দিতে। যাঁরা হিন্দি জানেন না তাঁরা ইংরাজীতে পরিবর্তন করতে পারছেন না।
যদিও এমকে স্ট্যালিনের সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছে বীমা সংস্থাটি। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এমন সমস্যা বলে সংস্থার দাবি। এলআইসির তরফে জানানো হয়, 'যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আমাদের কর্পোরেট ওয়েবসাইট licindia.in -র ভাষার পেজগুলি পরিবর্তন করা সম্ভব হচ্ছিল না। সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। বর্তমানে ওয়েবসাইটে হিন্দি এবং ইংরাজী উভয় ভাষাই উপলব্ধ রয়েছে। কোনওরকম অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত'।
দক্ষিণ ভারতের প্রায় সবক'টি রাজ্যে বরাবরই নিজেদের ভাষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। হিন্দি ভাষাকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। ১৯৩০-র দশকে হিন্দি বিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে তামিলনাড়ুর বুকে। বর্তমানেও হিন্দি থেকে 'দূরত্ব' বজায় রাখে দক্ষিণের রাজ্যগুলি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন