

২০০৮ মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলার রায় দান পিছিয়ে গেল এনআইএ-র বিশেষ আদালতে। ৮ মে রায় ঘোষণা হবে বলে প্রথমে জানানো হয়েছিল। জানা যাচ্ছে এই রায় দেওয়া হতে পারে আগামী ৩১ জুলাই। ফলে আপাতত স্বস্তি পেলেন মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত তথা প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর।
বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতের বিচারক এ কে লাহোটি বলেন, "আজ (বৃহস্পতিবার) রায়ের ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু বিষয়টি বিশাল এবং নথিপত্র প্রায় এক লক্ষ পৃষ্ঠার, তাই আমার কিছু সময় প্রয়োজন। পরবর্তী তারিখ অর্থাৎ ৩১ জুলাই, আমি চাই সকল অভিযুক্ত উপস্থিত থাকুক। যদি কোনও অভিযুক্ত অনুপস্থিত থাকে, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মুম্বাই থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মালেগাঁও শহরে একটি মসজিদের সামনে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মোটরসাইকেলে বিস্ফোরক ডিভাইস বেঁধে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এর জেরে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হন। ১০০ জনেরও বেশি আহত হন।
মামলাটি প্রাথমিকভাবে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (ATS) তদন্ত করেছিল। ২০১১ সালে NIA-র হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়।
২০১৬ সালে প্রজ্ঞা ঠাকুর সহ চার অভিযুক্তকে ক্লিনচিট দেয় এনআইএ। বলা হয় যে তাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত। প্রজ্ঞা ঠাকুর ছাড়া বাকি তিনজন হলেন - শ্যাম সাহু, প্রবীণ তাকালকি এবং শিবনারায়ণ কালসাংরা।
এরপর ২০১৮ সালে চার্জশিট গঠন করে এনআইএ। ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) এবং বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)–এ চার্জশিট গঠন করে এনআইএ। বিচারপতি এ কে লোহটির এজলাসে প্রায় দেড় হাজার পাতার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়।
চার্জশিটে প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর সহ আরও ছয় জনের নাম রাখা হয়। NIA জানায়, প্রজ্ঞা সিং এই বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত এবং তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবেই। বাকি ছয় অভিযুক্ত হলেন - কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত, অজয় রোহিরকর, মেজর রমেশ উপাধ্যায়, স্বামী দয়ানন্দ পাণ্ডে, সমীর কুলকার্নি ও সুধাকর চতুর্বেদী।
চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল এই মামলার শুনানি শেষ হয়। একাধিক মিডিয়া তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছিল, সকল অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানিয়েছে এনআইএ। এখন দেখার আগামী ৩১ জুলাই বিচারক কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন