
* আগামী ৮ মে মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলার রায় দেবে আদালত।
* কোনও কোনও সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে এই মামলায় প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর সহ ৬ জনের মৃত্যুদন্ডের সুপারিশ করেছে বিজেপি।
* মামলাটি প্রাথমিকভাবে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (ATS) তদন্ত করেছিল। ২০১১ সালে NIA-র হাতে এই মামলার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়।
এনআইএ-র বিশেষ আদালতে ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলার শুনানি শেষ হল। ১৯ এপ্রিল এই শুনানি শেষ হবার পর রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি। জানা যাচ্ছে আগামী ৮ মে এই মামলার রায় ঘোষণা হবে।
একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপি নেত্রী প্রজ্ঞা সিংহ ঠাকুর সহ আরও ছয় অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তবে এই দাবির স্বপক্ষে কোনও নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র পাওয়া যায়নি।
সংবাদ সংস্থা ইউএনআই দাবি করেছে, প্রজ্ঞা ঠাকুর সহ বাকি ছয় অভিযুক্তেরই শাস্তির দাবি জানিয়েছে এনআইএ। তবে তা মৃত্যুদণ্ড কিনা সেই বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মুম্বাই থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মালেগাঁও শহরে একটি মসজিদের সামনে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। মোটরসাইকেলে বিস্ফোরক ডিভাইস বেঁধে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এর জেরে কমপক্ষে ছয়জন নিহত হন। ১০০ জনেরও বেশি আহত হন।
মামলাটি প্রাথমিকভাবে মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (ATS) তদন্ত করেছিল। ২০১১ সালে NIA-র হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়।
২০১৬ সালে প্রজ্ঞা ঠাকুর সহ চার অভিযুক্তকে ক্লিনচিট দেয় এনআইএ। বলা হয় যে তাদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত। প্রজ্ঞা ঠাকুর ছাড়া বাকি তিনজন হলেন - শ্যাম সাহু, প্রবীণ তাকালকি এবং শিবনারায়ণ কালসাংরা।
এরপর ২০১৮ সালে চার্জশিট গঠন করে এনআইএ। বিচারপতি এ কে লোহটির এজলাসে প্রায় দেড় হাজার পাতার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় এনআইএ। চার্জশিটে প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর সহ আরও ছয় জনের নাম রাখা হয়। NIA জানায়, প্রজ্ঞা সিং এই বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত এবং তাঁকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবেই।
চার্জশিটে প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর-সহ আরও ছ’জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি) এবং বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)–এ চার্জ গঠন করে এনআইএ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউপিএ-র ১৬ (সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটানো ও ১৮ (সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটানোর ষড়যন্ত্র) নম্বর ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৩০২ (খুন), ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩২৪ (ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা), ১৫৩ এ (দুটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এই মুহূর্তে জামিনে মুক্ত রয়েছেন প্রজ্ঞা সিং।
বাকি ছয় অভিযুক্ত হলেন - কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত, অজয় রোহিরকর, মেজর রমেশ উপাধ্যায়, স্বামী দয়ানন্দ পাণ্ডে, সমীর কুলকার্নি ও সুধাকর চতুর্বেদী।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রজ্ঞা ঠাকুরকে প্রার্থী করে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশের ভোপাল কেন্দ্রে কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংকে ৩.৬ লাখ ভোটে হারিয়ে সাংসদ হন প্রজ্ঞা। যদিও ২০২৪ সালে তাঁকে আর টিকিট দেয়নি বিজেপি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন