“মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে, মাত্র ৫ মাসের মধ্যে ভোটার তালিকায় ভোটার সংখ্যা ৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু কিছু বুথে ২০-৫০% বৃদ্ধি দেখা গেছে। বিএলওরা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। গণমাধ্যম হাজার হাজার ভোটারকে যাচাইকৃত ঠিকানা ছাড়াই খুঁজে পেয়েছে। আর নির্বাচন কমিশন? নীরব - নাকি সহযোগী।” মঙ্গলবার আরও একবার মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা ও রায়বেরিলির কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম নিউজলন্ড্রীর এক প্রতিবেদনের ক্লিপিংস পোষ্ট করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এদিন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী লিখেছেন, “এগুলো কোনও বিচ্ছিন্ন ত্রুটি নয়। এটা ভোট চুরি। ধামাচাপা দেওয়া হলো স্বীকারোক্তি। তাই আমরা অবিলম্বে মেশিন-পাঠযোগ্য ডিজিটাল ভোটার তালিকা এবং সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।”
বিগত কিছুদিন ধরেই মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে কারচুপির তুলছেন রাহুল গান্ধী। গত ৭ জুন এক্স হ্যান্ডেলে নিজের লেখা এক প্রতিবেদন শেয়ার করে রাহুল গান্ধী লেখেন, "কিভাবে নির্বাচন চুরি করা যায়? ২০২৪ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন ছিল গণতন্ত্রকে কারচুপি করার ব্লু প্রিন্ট। আমার প্রবন্ধে আমি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছি কিভাবে এই ষড়যন্ত্র ধাপে ধাপে রচিত হয়েছিল। যেখানে তিনি এক, দুই করে পাঁচটি প্রশ্ন তুলেছিলেন এবং সরাসরি নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে উত্তর দাবি করেছিলেন।
এদিনের এক্স বার্তায় রাহুল গান্ধী যে প্রতিবেদনের উল্লেখ করেছেন, নিউজলন্ড্রীর ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে মাত্র ছয় মাসের মধ্যে, বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশের কেন্দ্র নাগপুর দক্ষিণ পশ্চিমে ২৯,২১৯ জন নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছিল। অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় ১৬২ জন ভোটার। যা ৮.২৫ শতাংশ বৃদ্ধি। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে বাধ্যতামূলক যাচাই পরীক্ষা শুরু করার জন্য ৪ শতাংশেরও দ্বিগুণেরও বেশি। যদিও, এক্ষেত্রে এরকম কোনও যাচাই করা হয়নি বলে মনে হচ্ছে। কিছু এলাকায় স্থানীয় ভোট কর্মীরা দাবি করেছেন সেখানে সংযোজনের হার সর্বাধিক ছিল।
প্রতিবেদনে নিউজলন্ড্রী দাবি করেছে, বিধানসভা কেন্দ্রের ৩৭৮টি বুথে ভোটার তালিকার নিবিড় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে দেখা যায় যে, ২৬৩টি বুথে ভোটার সংখ্যা ৪ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে - ২৬টিতে ২০ শতাংশের বেশি এবং চারটি বুথে ৪০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন