মহারাষ্ট্রের আসন্ন স্থানীয় সংস্থার নির্বাচনে চাপ দিয়ে, ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যহার করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার এই অভিযোগ করেছেন এনসিপি (এসপি) জাতীয় কার্যকরী সভাপতি সুপ্রিয়া সুলে। মহারাষ্ট্র রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে তিনি এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এর ফলে বহু জায়গাতেই প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাচ্ছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।
মহারাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশনার দীনেশ ওয়াগমারেকে লেখা চিঠিতে সুপ্রিয়া সুলে জানিয়েছেন, ক্ষমতার লোভের কারণে স্থানীয় সংস্থা নির্বাচনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রার্থীদের হুমকি ও ভীতি প্রদর্শন গুরুতর বিষয় এবং গণতন্ত্রে সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ অক্ষুণ্ণ রাখতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। যদিও বর্তমানে তা ঘটছে বলে মনে হচ্ছে না। তাই আমি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের আমার উদ্বেগ প্রকাশ করছি।
গতকালই মহারাষ্ট্র বিজেপি সভাপতি রবীন্দ্র চ্যবন দাবি করেন ইতিমধ্যেই শাসকদলের ১০০-র বেশি প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। রাজ্য জুড়ে নগর পঞ্চায়েত এবং পুরসভায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানান।
বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করছে। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসক দলের প্রার্থীরা জয়ী হয়ে যাচ্ছেন।
মহারাষ্ট্রের ২৪৬টি পুরসভা এবং ৪২টি নগর পঞ্চায়েতের জন্য ভোটগ্রহণ হবার কথা আগামী ২ ডিসেম্বর। ২০২৬-এর জানুয়ারি মাসে সিভিক কর্পোরেশন ভোট হবার কথা।
প্রসঙ্গত, এর আগে দাদরা ও নগর হাভেলী এবং দমন ও দিউ-র স্থানীয় সংস্থার নির্বাচন নিয়েও একই ধরণের অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন ‘ছিনতাই’ (Hijacking) করার অভিযোগ এনেছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল বিরোধীদের ৮০ শতাংশ মনোনয়ন পত্র পরীক্ষার সময় কোনও কারণ না দেখিয়ে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও বিজেপির কোনও মনোনয়ন পত্র খারিজ করা হয়নি। ফলে শাসকদলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এই ঘটনায় বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস।
নয়াদিল্লীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে গোয়া, দাদরা ও নগর হাভেলী এবং দমন ও দিউ-র কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাণিকরাও ঠাকরে জানান, “স্থানীয় সংস্থা নির্বাচনে একটি বড় কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে। ভোট চুরির বাইরেও, এই অঞ্চলে পুরো নির্বাচন চুরি হয়েছে। বিজেপি এত ভালো পরিকল্পনা করেছিল যে কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি, ফলে পুরো নির্বাচনই ছিনতাই হয়ে গেছে।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন