
ইভিএম-এর বদলে ব্যালট পেপার ফিরিয়ে এনে গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে খুব তাড়াতাড়ি ভারত জোড়ো যাত্রার মত বড়ো আন্দোলন শুরু হবে। মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সভাপতি নানা পাটোলে একথা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, এই আন্দোলন শুরু হবে মারকাডওয়াদি থেকে। মহারাষ্ট্রের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই তিনি নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখলেও তার কোনও উত্তর এখনও তিনি পাননি।
সোলাপুর জেলার মারকাডওয়াদি গ্রামেই ইভিএম-এর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। পাটোলে জানিয়েছেন, এই গ্রাম এবং সংলগ্ন সমস্ত গ্রামের গ্রামসভায় অবিলম্বে ভোটিং ব্যবস্থায় ইভিএম-এর বদলে ব্যালট ফিরিয়ে আনার দাবিতে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। যে প্রতিবাদ এখন মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। সাংলি জেলার কোলেওয়াদি, রায়গড় জেলার মানগাঁও গ্রামেও স্থানীয় স্তরে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। পাটোলের দাবি, খুব দ্রুত এই প্রতিবাদ রাজ্যের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।
পাটোলে দাবি করেন, গণতন্ত্রে ভোটাররাই রাজা হিসেবে গণ্য হন। কিন্তু এখন এই রাজাদের ভোট লুঠ করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের মনে ইভিএম নিয়ে সন্দেহ জেগেছে। যে কারণে মারকাডওয়াদি গ্রামের মানুষ প্রতিবাদ শুরু করেছে এবং দাবি জানিয়েছে ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ইভিএম-এর বদলে ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনতে হবে। যে দাবি দেশের সামনে নতুন নজির সৃষ্টি করবে।
নানা পাটোলের মতে, মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের বিস্ময়কর ফলাফল এই নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, সরকারি তথ্য অনুসারে, ভোটের দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল ৫৮.৩৩ শতাংশ। যা ওইদিনই রাত সাড়ে ১১টায় হয়ে যায় ৬৫.২ শতাংশ এবং পরের দিন ২১ নভেম্বর বিকেল ৩টেয় তা হয়ে যায় ৬৬.০৫ শতাংশ। এই বিষয়ে তাঁর প্রশ্ন, কীভাবে এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৭৬ লক্ষ ভোট পড়লো? বিকেল ৫টার পরে কোনও বুথে ভোটারদের দীর্ঘ লাইনের কোনও ভিডিও আছে কি?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন