Maharashtra: মহারাষ্ট্রে ভোটের হারে কীভাবে এত বদল? প্রশ্ন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার কুরেশীর!

People's Reporter: মহারাষ্ট্রে দেখা যাচ্ছে ২০ নভেম্বর বিকেল ৫টায় ভোট দানের হার ছিল ৫৫ শতাংশ। পরের দিন চূড়ান্ত ভোটদানের হার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬৭%।
এস ওয়াই কুরেশী
এস ওয়াই কুরেশীফাইল ছবি - সংগৃহীত
Published on

মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটের হার এবং চূড়ান্ত ঘোষিত ভোটের হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশী। তাঁর মতে, এর ফলে গোটা ব্যবস্থার প্রতি মানুষ আস্থা হারাতে পারে।

ইভিএম-এ কারচুপির অভিযোগ নতুন নয়, রাজনৈতিক জনসভা থেকে শুরু করে সংসদ ভবন সব জায়গাতেই ইভিএম নিয়ে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে শাসক দল। মহারাষ্ট্র নির্বাচনেও প্রযুক্তির 'অপব্যবহারের' অভিযোগ সামনে আসছে।

তথ্য অনুসারে, মহারাষ্ট্রে ২০ নভেম্বর ভোটগ্রহণের দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ছিল ৫৫ শতাংশ। পরের দিন চূড়ান্ত ভোটদানের হার বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৬৭%। যে হারে মোট পার্থক্য ১২% ভোটের। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের এবারের ভোটের হার বিগত প্রায় ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশী বলেন, নির্বাচনে ভোটদানের হার দ্রুত আপডেট করা হয়। কিন্তু ভোটদানের হারে এই পরিবর্তন দেখে আমি অবাক। গোটা দেশে যেভাবে এই ব্যবস্থার প্রতি সন্দেহ ছড়িয়ে পড়ছে তা সকলের মাথার মধ্যে ঢুকে গেলে বিপদ। পুরো ব্যবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে অবিশ্বাস জন্মাবে। নির্বাচন কমিশনের উচিত এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া।

তিনি আরও বলেন, ফর্ম ১৭সি-তে প্রতি বুথে যা ভোটদান হয় তার হিসেব রাখা হয়। এটা ওইদিনের তৈরি করা রিয়েল টাইম ডাটা। এরপর কীভাবে পরের দিন সেই সংখ্যা এত বদলে যায় তা আমি বুঝতে ব্যর্থ।

ভোটদানের তথ্য লিপিবদ্ধ করার প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, এই তথ্য প্রতি মুহূর্তে আপডেট করা হয়। আমরা যখন ভোট দিতে যাই, তখন একটি ফর্ম ১৭এ থাকে এবং আমাদের উপস্থিতি প্রিসাইডিং অফিসার লিপিবদ্ধ করেন। দিনের শেষে, ফর্ম ১৭সি পূরণ করা হয়। যেখানে সারা দিনের সমস্ত তথ্য পূরণ করার পর এবং প্রার্থীদের এজেন্টদের সই করার পর তা প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে চলে যায়।

সম্প্রতি ইভিএম-র পরিবর্তে ব্যালটে নির্বাচন করার দাবি জানিয়ে মামলা দায়ের হয়। শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় ব্যালটে ভোট করানো সম্ভব নয়। যখন চন্দ্রবাবু নাইডু বা জগন মোহন রেড্ডির মতো নেতারা পরাজিত হন তখন অভিযোগ করেন ইভিএম-এ কারচুপি করা হয়েছে। কিন্তু জিতে গেলে কোনও অভিযোগই করেন না। এটা আমরা কীভাবে বিচার করব? আমরা এই আর্জি খারিজ করলাম। আদালতে এই ধরণের বিতর্ক করা যায় না।

এস ওয়াই কুরেশী
Kerala ByElection: কেরালায় ২ কেন্দ্রে ভোট কমায় নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে ইস্তফার ইচ্ছা BJP রাজ্য সভাপতির
এস ওয়াই কুরেশী
Maharashtra Polls: ‘মহারাষ্ট্রে যা হয়েছে তার জন্য দায়ী ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়’ – দাবি সঞ্জয় রাউতের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in