
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে শিবসেনা (ইউবিটি) –র ফলাফল মানতে চাননি দলের নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত। ফলাফল ঘোষণার পর এনডিএ –র বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন সঞ্জয়। এবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলের এ হেন ফলাফলের জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে দোষারোপ করলেন উদ্ধব ঠাকরের দলের নেতা।
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে ২৮৮ টি আসনের মধ্যে এনডিএ জোট পেয়েছে ২৩৫ টি আসন। অন্যদিকে, বিরোধী জোট মহাবিকাশ আঘাদি পেয়েছে ৪৯ টি আসন। মহাযুতি বা এনডিএ জোটের শরিক একনাথ শিন্ডে নেতৃত্বাধীন শিবসেনা পেয়েছে ৫৭ টি। অন্যদিকে, বিরোধী উদ্ধব ঠাকরে নেতৃত্বাধীন শিবসেনা পেয়েছে মাত্র ২০ টি আসন। শনিবার ফলাফল সামনে আসার পর থেকে পুনর্নিবার্চনের দাবি তুলেছেন সঞ্জয় রাউত।
এদিন উদ্ধব ঠাকরের দলের নেতা দাবি করেন, ব্যালট পেপারে ভোট হলে ফলাফল অন্যরকম হবে। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনে ইভিএম একটি বড় সমস্যা হয়েছে। এই ফলাফল থাকুক। কিন্তু ব্যালট পেপারে আবার নির্বাচন হোক। তারপরে আমাদের ফলাফল দেখতে পাবেন।‘
এখানেই শেষ নয়। এরপরেই দেশের সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন সঞ্জয় রাউত। তিনি বলেন, ‘মহারাষ্ট্রে যা ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য দায়ী ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।‘
সঞ্জয় রাউথ বলেন, দলবদলকারীদের মন থেকে আইনের ভয় মুছে দিয়েছিলেন চন্দ্রচূড়। তাঁর নাম ইতিহাসে কালো অক্ষরে লেখা থাকবে। আদালতে আবেদন করা সত্বেও তিনি ওই দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারের হাতে। যদি সঠিক সময়ে দলবদলকারীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হত তাহলে আজ মহারাষ্ট্র নির্বাচনের ফলাফল অন্যরকম হত।
তবে শুধু রাউথ নয়। এনডিএ –র বিরুদ্ধে মহা বিকাশ আঘাদির বহু নেতারাই ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। শনিবার গণনা চলাকালীন অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর অভিযোগ তোলেন ইভিএম কারচুপি নিয়ে। অভিনেত্রীর অভিযোগ ছিল, অনুশক্তি নগরে ১৭ রাউন্ড গণনা শেষে ৯৯ শতাংশ চার্জের ইভিএমে হঠাৎ করে এগিয়ে যায় বিজেপির সানা মালিক। তাঁর অভিযোগ, সারাদিন গণনার পরে কিভাবে ইভিএমে ৯৯ শতাংশ চার্জ থাকে। উল্লেখ্য, অনুশক্তি নগরে এবার এনসিপি শরদ পাওয়ার প্রার্থী করেছিল স্বরা ভাস্করের স্বামী ফাহাদ আহমেদকে। যদিও তিনি ঐ কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন। জয়ী হয়েছেন বিজেপির সানা মালিক।
অন্যদিকে, এনডিএ –এর এই জয়কে ‘আশ্চর্যজনক’ বলে অভিহিত করেছেন উদ্ধব পুত্র আদিত্য ঠাকরে। পুনঃগণনার দাবি তুলেছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন