
মহাকুম্ভে ‘শাহী স্নান’ করতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫ জনের। আহত শতাধিকেরও বেশী। যদিও সরকারের তরফ থেকে হতাহতের সংখ্যা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এই ঘটনায় রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই আবহে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে পুণ্যার্থীদের দ্রুত স্নান সেরে নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, ভিডিওতে দেখতে পাওয়া ওই ব্যক্তি প্রয়াগরাজের ডিভিশনাল কমিশনার। প্রশ্ন উঠছে, এই ঘোষণা শুনেই কি হুড়োহুড়ি পড়ে যায় পুন্যার্থীদের মধ্যে?
মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল থেকেই কোটি মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন মভাকুম্ভ মেলায়। মাঝরাত থেকেই গঙ্গা, যমুনা, এবং অন্তঃসলিলা সরস্বতী - তিন নদীর সঙ্গম ত্রিবেণী সঙ্গমে শাহী স্নান বা অমৃত স্নান করা শুরু করে দেন তাঁরা। রাত ২টা নাগাদ অতিরিক্ত ভিড়ের চাপে স্নানের ঘাটে থাকা ব্যারিকেডগুলি ভেঙে যায়। তখনই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়ে।
আর এই পরিস্থিতিতে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে এক ব্যক্তিকে মাইক হাতে করে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যাচ্ছে, “সব পুণ্যার্থীরা শুনুন। শুয়ে থেকে লাভ নেই। শুয়ে থাকলেই হারিয়ে যাবেন। উঠুন উঠুন। স্নান করুন। আপনাদের নিরাপত্তার জন্যই বলছি। আরও লোক এসে গেলে ধাক্কাধাক্কি হবে। আপনারা প্রথমে এসেছেন, সবার আগে অমৃত পাওয়ার কথা আপনাদেরই। উঠুন, আর শুয়ে থাকবেন না”। (যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার)
জানা যাচ্ছে, মাইক হাতে থাকা ওই ব্যক্তি প্রয়াগ্রাজের ডিভিশনাল কমিশনার। ওই ঘোষণার সময় তাঁর পিছনেএকাধিক পুলিশ এবং কনস্টেবলদের দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, ঘোষণার পরেই মানুষ সঙ্গম ঘাটে ভিড় জমান। যদিও এ নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।
জোর কদমে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে যোগী প্রশাসন। ত্রিবেণী সঙ্গমে আবার পুণ্যস্নান শুরু হয়েছে। আকাশপথে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চলছে ‘পুষ্পবৃষ্টি’।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন