Mahakumbh: 'অপর্যাপ্ত পরিকাঠামো ও ভিআইপি কালচারের ফল' - মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় অভিযোগ বিরোধীদের

People's Reporter: খাড়গে বলেন, প্রশাসনের গাফিলতি, ভিআইপিদের যাতায়াতের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ এবং আত্মপ্রচারই এই দুর্ঘটনার মূল কারণ।
কুম্ভমেলা
কুম্ভমেলাছবি - সংগৃহীত
Published on

মহাকুম্ভ মেলা চলাকালীন মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নানের সময় ভয়াবহ পদপিষ্টের ঘটনা ঘটলো। বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকারকেই দায়ী করলেন বিরোধীরা। তাদের অভিযোগ, প্রশাসনের অপ্রস্তুতি ও "ভিআইপি সংস্কৃতিই" এর জন্য দায়ী।

বিরোধী দলের নেতা রাহুল গান্ধী এই ঘটনাকে "হৃদয়বিদারক" বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, "সাধারণ পূণ্যার্থীদের জন্য কিছু ভাবা হয়নি। ভিআইপিদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ফলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন যদি সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবে পরিকল্পনা করত, তাহলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না"।

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, "হাজার হাজার কোটি টাকা খরচের পরেও মহাকুম্ভে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি অত্যন্ত লজ্জাজনক। প্রশাসনের গাফিলতি, ভিআইপিদের যাতায়াতের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ এবং আত্মপ্রচারই এই দুর্ঘটনার মূল কারণ। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের উচিত এমন দুর্ঘটনা রোধে আরও পরিকল্পিত ব্যবস্থা নেওয়া।"

উত্তরপ্রদেশের প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। মহাকুম্ভের সমস্ত ব্যবস্থাপনা সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "বিজেপি সরকার দাবি করেছিল, এটি বিশ্বমানের আয়োজন। কিন্তু আজকের ঘটনা প্রমাণ করল, এই দাবির বাস্তব ভিত্তি নেই। প্রশাসনের ব্যর্থতার দায় নিয়ে তারা পদত্যাগ করুন।"

প্রাথমিকভাবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, সকালের দিকে তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা হঠাৎ করেই বেড়ে যায়, যার ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী। বিশেষ করে, কিছু নারী তীর্থযাত্রী অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে পদদলিত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

স্থানীয় সূত্রের দাবি, ভিআইপি চলাচলের কারণে সাধারণ তীর্থযাত্রীদের প্রবেশ-বিধি কঠোর করা হয়, ফলে এক জায়গায় প্রচণ্ড ভিড় জমে যায়। আর এতেই এই অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটে।

সরকার ইতিমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, কেন হঠাৎ এমন ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখার জন্য। পাশাপাশি, আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রয়াগরাজের সমস্ত হাসপাতালে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়েছে।

এখনও জারি রয়েছে উদ্ধারকাজ। ঘটনাস্থলে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাফও নামানো হয়েছে। ত্রিবেণী সঙ্গমে ‘শাহী স্নান’ আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার খবর পেয়েই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ফোন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁরা। পুন্যার্থীদের এই মুহূর্তে ত্রিবেণী সঙ্গমে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। পরিবর্তে নিকটবর্তী গঙ্গা ঘাটেই ‘শাহী স্নান’ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। শতাধিক আহত হয়েছেন। পাশাপাশি বহু মানুষ নিখোঁজ। তবে সরকারের তরফ থেকে হতাহতের সংখ্যা এখনও জানানো হয়নি।

কুম্ভমেলা
Mahakumbh: ‘শাহী স্নান’ করতে গিয়ে হুড়োহুড়ি, মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু, আহত বহু
কুম্ভমেলা
CBSE: মোবাইল নিয়ে ধরা পড়লে দু'বছর পরীক্ষায় বসা যাবে না! নয়া নির্দেশিকা জারি সিবিএসই-র

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in