Madhya Pradesh: প্রকাশ্যে মাছ-মাংস-ডিম বিক্রি করা যাবে না! শপথ নিয়েই নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মোহনের
মধ্যপ্রদেশে বন্ধ হতে চলেছে প্রকাশ্যে মাছ, মাংস এবং ডিমের ব্যবসা। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরই এমন নির্দেশ ডিলেন মোহন যাদব। তাঁর দাবি বেআইনিভাবে আমিষ খাবারের ব্যবসা করা যাবে না।
মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব বলেন, 'সকলের সাথে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জনসাধারণের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখেই রাস্তার ধারে মাছ, মাংস বা ডিমের ব্যবসা বন্ধ করা হবে। এর জন্য ফুড সেফটি আইন চালু করা হবে। তারপরই প্রকাশ্যে ওই ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে'।
তিনি আরও বলেন, 'প্রকাশ্যে ব্যবসা করতে পারবেন না মানে এই নয় যে চিরতরে ব্যবসা বন্ধ করা হলো। ফুড সেফটি দপ্তর থেকে ওই ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হবে কীভাবে এবং কোথায় তাঁরা ব্যবসা চালু করতে পারবেন। জনগণকে সচেতন করার কাজ আগে শুরু হবে। তারপর প্রকাশ্যে মাছ, মাংস বিক্রি বন্ধ করা হবে'।
পাশাপাশি সমস্ত ধর্মীয় ক্ষেত্রগুলিতে লাউড স্পিকার এবং ডিজে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একটি নোটিশে বলা হয়েছে, অনুমতি ছাড়া ধর্মীয় স্থানে লাউড স্পিকারের ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা অনুযায়ী মধ্যপ্রদেশ সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেখানে কোথায় কত ডেসিবল মাত্রায় শব্দের ছাড় আছে তার উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন - শিল্পাঞ্চলে দিনে সর্বোচ্চ ৭৫ ডেসিবেল এবং রাতে সর্বোচ্চ ৭০ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দের ছাড় আছে। বাজার-হাটে দিনে সর্বোচ্চ ৬৫ ডেসিবেল এবং রাতে সর্বোচ্চ ৫৫ ডেসিবেল আওয়াজে ছাড় আছে। বসতি এলাকায় অর্থাৎ কোনো গ্রামে বা পাড়ায় রাতে সর্বোচ্চ ৫৫ ডেসিবেল এবং রাতে সর্বোচ্চ ৪৫ ডেসিবেল আওয়াজ আইনত বৈধ। এই নিয়ম ভঙ্গ করলে সরকারের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেই জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজস্থানেও আমিষ দোকান বন্ধের জন্য সুর চড়িয়েছিলেন সদ্য নির্বাচিত হওয়া হাওয়া মহলের বিজেপি বিধায়ক বালমুকুন্দ আচার্য। তিনি বলেন, রাস্তার ধারে আমিষ খাবার বিক্রি করা যায় না। সব দোকান বন্ধ করতে হবে। এক পুলিশ আধিকারিককে প্রশ্নও করেন যে রাস্তায় এইভাবে আমিষ বিক্রি করা যায় কিনা? দোকানগুলোর কাছে বৈধ লাইসেন্স আছে কিনা তাও জানতে চান ওই বিধায়ক।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

