
মধ্যপ্রদেশের বুরহানপুরের আসিরগড় দুর্গে সোনার খোঁজে ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। টর্চ, চালনি ও মেটাল ডিটেক্টর হাতে নিয়ে অনেকেই প্রাচীন মুদ্রা পাওয়ার আশায় খননকাজে লিপ্ত হয়েছেন। জানা যাচ্ছে ভিকি কৌশল অভিনীত সিনেমা 'ছাভা'র কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন ব্যক্তি টর্চ আর মেটাল ডিটেক্টর হাতে নিয়ে মাটি খুঁড়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, ওই স্থানে মুঘল যুগের সম্পদ লুকিয়ে রাখা হয়েছে। কিছু স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাঁরা সোনার মুদ্রা পেয়েছেন, যদিও প্রশাসন এখনও এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেনি।
বর্তমানে যাঁরা জমির মালিক, তাঁরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয়দের এই কাজে। তাঁদের অভিযোগ, আচমকাই অনেকে এসে জমি খুঁড়তে শুরু করে দিয়েছে। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আসিরগড়ে গুপ্তধন খোঁজার জন্য লোকজন ভিড় করছে। হারুন শেখের জমিতে সোনার মুদ্রা পাওয়া যাচ্ছে বলে গুজব ছড়িয়েছে, আর তার পর থেকেই খননকাজ চলছে।”
ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে বুরহানপুরের পুলিশ। পুলিশ সুপার দেবেন্দ্র পাতিদার জানান, “আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। যদি কেউ অবৈধভাবে খনন করতে গিয়ে ধরা পড়ে, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, জাতীয় সড়ক নির্মাণের সময় ওই এলাকায় শ্রমিকরা মাটির নীচ থেকে কিছু চকচকে ধাতব জিনিস খুঁজে পান। তারপর থেকেই গুজব ছড়ায় যে এই স্থানে গুপ্তধন রয়েছে। কিন্তু তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, বিষয়টি আরও মানুষের মধ্যে সন্দেহ তৈরি করে যখন সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘ছাভা’ সিনেমার একটি দৃশ্যে বুরহানপুরকে ‘সোনার খনি’ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
ঐতিহাসিকদের মতে, মুঘল আমলে বুরহানপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্র ছিল এবং যুদ্ধের সময় এই এলাকাতেই বেশ কিছু সম্পদ লুকিয়ে রাখাও হয়েছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন