
ফৌজিদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া রাজনৈতিক নেতার উপর আজীবন নিষেধাজ্ঞা ‘নিষ্ঠুরতা’র সমান। সংসদীয় রাজনীতিতে ছ’বছরের নিষেধাজ্ঞায় যথেষ্ট। এক মামলায় সুপ্রিম কোর্টে একথা জানাল কেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি, আদালতে তাদের যুক্তি, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে একমাত্র সংসদ।
ফৌজিদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া রাজনীতিকদের ভোটে দাঁড়ানোর অধিকারের উপর বরাবরের মতো নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানিয়ে সম্প্রতি একটি মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। পাশাপাশি, তাঁর আবেদন ছিল, দেশের সাংসদ, বিধায়কদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মামলা চলছে, তার দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। এব্যাপারে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
বুধবার বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। এদিন এই মামলার প্রেক্ষিতে আদালতে হলফনামা জমা দেয় কেন্দ্র। হলফনামায় কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, “আজীবন নিষেধাজ্ঞা যথাযথ হবে কি না, এই প্রশ্নটি শুধুমাত্র সংসদের এক্তিয়ার ভুক্ত”।
বর্তমানে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুসারে, কোনও সাংসদ বা বিধায়ক দোষী সাব্যস্ত হয়ে দু’বছরের বেশি কারাদণ্ড হলে সেই মুহুর্তেই সেই রাজনীতিকের সাংসদ বা বিধায়ক পদ চলে যাবে। এমনকি জেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ছ’বছর পর্যন্ত সেই রাজনীতিক কোনও ভোটে লড়তে পারবেন না। সেই আইনের বদল চেয়েই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন অশ্বিনী উপাধ্যায়।
আদালতের কাছে তাঁর আবেদন ছিল, ১৯৫১ সালে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮ এবং ৯ নম্বর ধারা পরিবর্তন করে শাস্তির সময়সীমা আজীবন করা হোক। তবে কেন্দ্র সেই আইনের ধারা বহাল রাখার পক্ষে সওয়াল করেছে। কেন্দ্রের যুক্তি, সুপ্রিম কোর্ট শুধুমাত্র আইনগুলিকে অসাংবিধানিক হিসাবে বাতিল করতে পারে তবে আবেদনকারীর আবেদনের ভিত্তিতে নয়।
হলফনামায় বলা হয়েছে, বর্তমান আইনগুলি সাংবিধানিকভাবে সঠিক এবং অতিরিক্ত প্রতিনিধিত্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন