
আবারও এক পড়ুয়া আত্মঘাতী হল কোটায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত ছাত্রের বয়স ১৮ বছর। তিনি NEET পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সোয়াই মাধোপুর জেলার ওই বাসিন্দা মঙ্গলবার আত্মঘাতী হন। এই নিয়ে ২০২৫ সালে এখনও পর্যন্ত ৭ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত অঙ্কুশ মীনা কোনও সুইসাইড নোট রেখে যাননি। যদিও পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সম্পর্কজনিত কোনও কারণে ওই ছাত্র আত্মঘাতী হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, অঙ্কুশ মীনা কোটায় NEET-UG-র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গত দেড় বছর ধরে তিনি প্রতাপ নগরে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন। মঙ্গলবার সকালে সিলিং ফ্যান থেকে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। স্থানীয় দাদাবাড়ি থানা থেকে পুলিশ এসে তাঁর দেহ উদ্ধার করে।
মৃত অঙ্কুশ মীনার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং এই ঘটনার তদন্ত চলছে। বিএনএসএস আইনের ১৯৪ ধারা অনুসারে এক মামলা রুজু করা হয়েছে।
মৃত ছাত্রের এক আত্মীয় পুলিশকে জানিয়েছেন, অঙ্কুশ পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো ছিল এবং রুটিন পরীক্ষাগুলিতেও সে অত্যন্ত ভালো নম্বর পেয়েছিল। ফলে তার ওপর পড়াশোনার অত্যধিক চাপ ছিল এমন নয়।
ওই আত্মীয়ই জানিয়েছেন, এদিন সকালেই অঙ্কুশ তাঁর বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলে। কিন্তু তখনও স্বাভাবিকভাবেই সে কথা বলেছিল।
এই নিয়ে চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৭ জন ছাত্র আত্মঘাতী হল কোটায়। শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই ৫ জন JEE এবং ১ জন NEET পড়ুয়া আত্মঘাতী হন। ২০২৪ সালে কোটায় আত্মঘাতী হয় ১৭ জন পড়ুয়া।
(এখানে আত্মহত্যা প্রতিরোধ হেল্পলাইন নম্বর দেওয়া আছে। আপনি বা আপনার পরিচিত কারোর সহায়তার প্রয়োজন হলে অনুগ্রহ করে যোগাযোগ করুন। সর্বভারতীয় হেল্পলাইন নম্বর - ০২২-২৭৫৪৬৬৬৯)
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন