
আত্মসমর্পণ করলেন কামতাপুর লিবারেশান অর্গানাইজেশনের প্রধান জীবন সিংহ। ভারত-মায়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় তিনি আত্মসমর্পণ করেন। তাঁর সাথে জঙ্গি সংগঠনের আরও ৬ সদস্যও আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানা গেছে।
জঙ্গি সংগঠনের নেতার আত্মসমর্পণের খবর জানা যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে। জানা গেছে, নাগাল্যান্ডের মন জেলায় নয়া বস্তি এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে ছিলেন জীবন সিংহ সহ ছয় জঙ্গি। তাদের এই আত্মসমর্পণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার।
গোয়েন্দা দপ্তরের দাবি, সূত্র মারফত যোগাযোগ করা হয় জঙ্গি সংগঠনের নেতার সাথে। জীবন সিংহ বার্তা পাঠিয়েছিলেন তিনি ভারতে ফিরে আত্মসমর্পণ করতে চান। ভারত এবং মায়ানমার সীমান্তের মধ্যে ১৬ কিলোমিটার অঞ্চল আছে। ওই মধ্যবর্তী অঞ্চলেই তিনি আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে তাঁরা সকলেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর অধীনে আছেন।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী বর্তমান রাজবংশী জাতীয় পরিষদের নেতা বিশ্বজিৎ রায়ের মাধ্যমে জীবনসঙ্গের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে। কেএলও জঙ্গি সংগঠনটি উত্তরবঙ্গের। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গকে বাদ দিয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে শান্তি বৈঠকের জন্য অগ্রণী ভূমিকা নেন?
এর আগে ২০০৩ সালে কেএলও-র বিরুদ্ধে ভারত ও ভুটানের সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়েছিল। সেই সময় জীবন সিংহের বোন সুমিত্রা, ভগ্নীপতি ধনঞ্জয় বর্মণ, হর্ষবর্ধন, কৈলাশ কোচ সহ একাধিক শীর্ষ নেতারা আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তারপরেই কেএলও প্রধান মায়ানমারে পালিয়ে গিয়ে অন্য একটি জঙ্গি সংঠনের আশ্রয়ে থাকেন।
উল্লেখ্য, একাধিক বার উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবিতে সরব হয়েছিলেন কেএলও নেতা। পৃথক রাজ্যের জন্য ১৯৫৫ সাল থেকে এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাস ছড়িয়েছিলেন। ২০২২ সালে ২৬ জানুয়ারিতে কেএলও প্রধান জীবন সিংহ একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে কোচ-কামতাপুর রাজ্য গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি এও বলেছিলেন, সাংসদ জন বার্লা ও নিশীথ প্রামানিকের নেতৃত্বে কোচ শ্রেণিভুক্ত সবাইকে নিয়ে কোচ-কামতাপুরি রাজ্য গঠন করুক কেন্দ্র।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন