

৫ বছর আগে কাকদ্বীপে দুই সিপিআইএম কর্মী খুনের মামলায় সিট গঠনের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সিট গঠন হবে আইপিএস দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে। বর্তমানে দময়ন্তী সেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল সিপির দায়িত্বে রয়েছেন।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সোমবার তাঁর নির্দেশে বলেন, জোড়া মৃত্যুর ঘটনায় দময়ন্তী সেন স্বাধীন ভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া চালাতে পারবেন। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী সিটের সদস্যদের নিয়োগও করতে পারবেন। যাঁরা পূর্বে এই ঘটনার তদন্তে ছিলেন, তাঁরা যেন সমস্ত তথ্য প্রমাণের নথি দময়ন্তী সেনকে দেন। এছাড়া এই ঘটনায় নিম্ন আদালতগুলিতে চলা সমস্ত মামলার ওপরও স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপে দেবব্রত দাস ও তাঁর স্ত্রী ঊষারানি দাস অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। সিপিআইএম-র পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল তৃণমূল করতে না চাওয়ায় পুড়িয়ে মারা হয়েছে ওই দম্পতিকে। তৃণমূল অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। শাসক দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে যায় বাড়িতে। এই কারণেই ওই দম্পতির মৃত্যু হয়। বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছিল মৃতদেহ।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক তদন্তের পর এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মা জানিয়েছিলেন, এটা খুন নয়, দুর্ঘটনা। শর্টসার্কিটের কারণেই বাড়িতে আগুন লেগেছিল। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার দিন এলাকাতে বিদ্যুৎই ছিল না। ফলে শর্টসার্কিট হয়ে পুড়ে যাওয়ার কোনও যুক্তিই নেই। ফলে নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে হাইকোর্টের এই নির্দেশ শাসক দলের অস্বস্তি বাড়ালো বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন