

কেরালার কোচিতে কলেজের ভেতরেই ছুরিকাহত হলেন এক এসএফআই নেতা। বৃহস্পতিবার কোচির মহারাজা কলেজে এই ঘটনা ঘটেছে। মহারাজা কলেজের এসএফআই ইউনিট সম্পাদক আবদুল রহমানকে কলেজের ভেতরেই ছুরি নিয়ে আক্রমণ করা হয়। তার পা এবং পাকস্থলীতে আঘাত লেগেছে। এই মুহূর্তে তিনি এক বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মহারাজা কলেজ।
ঘটনার পর এসএফআই-এর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে কেরালা স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (কেএসইউ)-এর প্রত্যক্ষ মদতে এই হামলা চালানো হয়েছে। জানা গেছে, প্রিন্সিপালের উপস্থিতিতে কলেজে ছাত্রদের সঙ্গে এক বৈঠক চলাকালীন একটি দল রহমানের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
এখনও পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। পুলিশ সূত্র অনুসারে, এক নাটকের অভিনয় নিয়ে বিবাদের জেরে দুই ছাত্রগোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে এসএফআই নেতাকে আক্রমণ করা হয়।
এসএফআই নেতার ওপর আক্রমণের ঘটনার আগেই বুধবার কলেজে একজন সহকারী অধ্যাপক ছুরিকাহত হন। এক ছাত্রের সাসপেনশন সংক্রান্ত বিবাদের জেরে তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। আহত অধ্যাপকের নাম নিজামুদ্দিন কে এম। তিনি মহারাজা কলেজের আরবিক গবেষণা বিভাগের অধ্যাপক। তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, মহম্মদ রশিদ নামের এক ছাত্র তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে।
আক্রান্ত অধ্যাপকের বয়ান অনুসারে, বিভাগের মধ্যেই অন্য এক ছাত্রের সাসপেনশনের বিষয়ে আততায়ীর সঙ্গে তাঁর বিবাদ বাধে। এর পরেই মহম্মদ রশিদ তাঁকে পেছন থেকে ছুরি দিয়ে আঘাত। করে। পুলিশ সূত্র অনুসারে, বর্তমানে ওই ছাত্র পলাতক এবং তার সন্ধানে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন