
শেষ দু’দশক ধরে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ (UDF) আমাদের ‘সাম্প্রদায়িক’ বলছে। একইভাবে সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন এলডিএফ (LDF)-ও আমাদের সবসময় ‘সাম্প্রদায়িক দল’ বলে দাগিয়ে দিয়েছে। আমরা জানাতে চাই আমাদের বিরুদ্ধে করা এই অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’। মঙ্গলবার কেরালার বিজেপি প্রধান রাজীব চন্দ্রশেখর দলীয় কর্মীদের এক সভায় একথা জানিয়েছেন।
এদিন কেরালার উত্তরের জেলা মালাপ্পুরমে দলীয় কর্মীদের এক সম্মেলনে কেরালা বিজেপি প্রধান চন্দ্রশেখর বলেন, “ইউডিএফ এবং এলডিএফ নিজেরা জোটে আছে এবং সবসময় ‘বিজেপি এক সাম্প্রদায়িক দল’ এবং ‘এনডিএ এক সাম্প্রদায়িক জোট’ বলে প্রচার চালায়। কিন্তু এটা নির্লজ্জ মিথ্যা।” কংগ্রেস মিথ্যা প্রচার করে বলে ২০০৮-এর মুম্বাই বিস্ফোরণের সঙ্গে আরএসএস জড়িত।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশের সমস্ত মানুষের জন্য বহু প্রকল্প আনা হয়েছে। মানুষ যে সম্প্রদায় বা ধর্মেরই হোন না কেন, তিনি ভারতীয় হলে এইসমস্ত সুবিধা পাবার যোগ্য।
কেরালা বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, ২০০৪ থেকে ২০১৪ – ইউপিএ-র আমলে দেশ রসাতলে গেছিল। সেইসময় দুর্নীতি বেড়েছিল, বেকারত্ব বেড়েছিল, অর্থনীতি দুর্বল হয়েছিল। একমাত্র বিজেপি এবং এনডিএ দেশের, রাজ্যের উন্নতি করতে পারে।
চন্দ্রশেখর বলেন, কংগ্রেস ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছে যে প্রগতি এবং উন্নয়ন তাদের লক্ষ্য নয়। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ভোটব্যাঙ্ক। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন এলডিএফ-এরও রাজ্যের উন্নতি করার কোনও ক্ষমতা নেই। তাই বিজেপি এবং এনডিএ-ই একমাত্র দল এবং জোট যারা সব মানুষের জন্য কাজ করতে পারে। একমাত্র আমরাই বিকশিত কেরালা শ্লোগানের বাস্তব রূপ দিতে পারি।
প্রসঙ্গত, সোমবারই ত্রিশূরে তিনি ‘বিকশিত কেরলম’ প্রচারের সূচনা করেন। সূচনা পর্বে তিনি জানান, বিকশিত কেরলম কোনো শ্লোগান নয়। এটা কেরালার মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতি। একই সঙ্গে তিনি রাজ্যের বাম সরকারের সমালোচনা করে বলেন, এই সরকারের আমলে রাজ্যের আর্থিক অবস্থা বেহাল হয়েছে।
উল্লেখ্য, আজই কেরালার বাম সরকারের চার বছর পূর্তির উৎসব শুরু হচ্ছে। যা নিয়ে সমালোচনা করে চন্দ্রশেখর বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন সংস্থার কর্মীরা যখন বেতন পাচ্ছেন না তখন কেরালা সরকার বর্ষপূর্তির জন্য ১০০ কোটি টাকা খরচ করছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন