
কেরালায় টাকার বিনিময়ে চাকরি দুর্নীতিতে ওয়াইনাডের এক কংগ্রেস বিধায়কের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করলো কেরালা পুলিশ। বিধায়কের নাম আই সি বালাকৃষ্ণ। তিনি ছাড়াও মামলায় নাম আছে কংগ্রেসের আরও তিন জন সদস্যের। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা এন এম বিজয়ন এবং তাঁর ছেলের আত্মহত্যার ঘটনায় এঁদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, বিজয়নের মৃত্যুর ঘটনায় এক কংগ্রেস বিধায়ক ও তিন কংগ্রেস সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, বিজয়নের সুইসাইড নোটের ওপর ভিত্তি করেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের বিরুধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)-এর ধারা অনুসারে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কংগ্রেসের জেলা কমিটির কোষাধ্যক্ষ বিজয়ন এবং তাঁর ছেলে জিজেশকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। তাঁরা বিষ পান করেছিলেন। দ্রুততার সঙ্গে তাঁদের কোঝিকোড় সরকারি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়। এরপরেই বিজয়নের পরিবারের পক্ষ থেকে সুইসাইড নোট প্রকাশ করা হয়। যেখানে বিজয়ন অভিযোগ করেছিলেন, কংগ্রেস বিধায়ক বালাকৃষ্ণ সুলতান বাথেরিতে কংগ্রেস পরিচালিত কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কে চাকরি দেবার জন্য ঘুষ নিয়েছেন।
বিজয়নের আত্মহত্যার পরেই এই নিয়োগ দুর্নীতি সামনে আসে। অভিযোগ ওঠে এক চাকরিপ্রার্থীকে কংগ্রেস পরিচালিত ব্যাঙ্কে চাকরি দেবার জন্য ৩০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়। যে তথ্যে আত্মঘাতী বিজয়ন ছাড়াও স্বাক্ষর ছিল বিধায়ক বালাকৃষ্ণের। যদিও আত্মঘাতী হবার আগে বিজয়ন জানিয়েছিলেন এই তথ্য জাল এবং এর জন্য তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
সুইসাইড নোট ছাড়াও তিনি কেরালা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকেও এক চিঠিতে একথা জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, কংগ্রেস পরিচালিত কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কে চাকরি পাইয়ে দেবার নাম করে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল। এই টাকা কংগ্রেস বিধায়ককে দেবার উদ্দেশ্যে তোলা হয়েছিল। তাঁর আরও অভিযোগ ছিল, কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কে নিজের পছন্দমত লোককে চাকরি দেবার জন্য ব্যাঙ্কের চাকরি থেকে বিজয়নের ছেলে জিগেশকেও ছাঁটাই করেছিল কংগ্রেস বিধায়ক বালাকৃষ্ণ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন