

'বাম-কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ' অভিযোগে দুই শীর্ষ মালায়ালাম টিভি চ্যানেলকে সেন্সর করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কেরালার সাংবাদিকরা (Journalists in Kerala)।
মঙ্গলবার, সাংবাদিকরা তিরুবনন্তপুরমে রাজভবনের সামনে মিছিল করে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের (Governor Arif Mohammed Khan) সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
গতকাল, কোচিতে সাংবাদিক বৈঠকে কেরালার রাজ্যপাল অভিযোগ তোলেন, 'মিডিয়ার মুখোশ পরে রাজনীতি করছে দুটি চ্যানেল'। এরপর, 'কৈরালি টিভি' (Kairali TV) ও 'মিডিয়া ওয়ান টিভি' (MediaOne TV)-কে সেন্সর করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দুটি চ্যানেলের সাংবাদিকদের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বের করে দেন তিনি।
এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাস্তায় নেমে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে কেরালার কর্মরত সাংবাদিকদের ইউনিয়ন 'দ্য কেরালা ইউনিয়ন অফ ওয়ার্কিং জার্নালিস্টস (The Kerala Union of Working Journalists)। কেরালার জাদুঘর থেকে রাজভবন পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার পদযাত্রায় সকলে (সাংবাদিকরা) যোগ দেন।
তবে, সাংবাদিকদের সঙ্গে কেরালার রাজ্যপালের এই ধরণের আচরণ এবারই প্রথম নয়। গত ২৪ অক্টোবরও সাংবাদিকদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন রাজ্যপাল খান।
এক অনুষ্ঠানে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের কটাক্ষ করে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ বলেন, তিনি আসল সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন। সাংবাদিক হিসাবে ছদ্মবেশী সিপিআই(এম) ক্যাডারদের সাথে কথা বলবেন না।
এদিকে, কেরালার রাজ্যপাল ও সাংবাদিকদের সংঘাতের মাঝে, আরিফ মহম্মদ খানের বিরুদ্ধে নতুন করে সুর চড়িয়েছে সিপিআই(এম)।
দলের রাজ্য সম্পাদক এম ভি গোবিন্দন (M.V. Govindan) বলেন - 'তিনি (রাজ্যপাল) তাঁর মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। রাজ্যপালের ভূমিকার প্রতিবাদে আগামী ১৫ তারিখ তিরুবনন্তপুরমে, এক লক্ষ মানুষের সমাবেশ নিয়ে রাজভবন অভিযান চালাবো আমরা। তা ছাড়া, রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও প্রতিবাদে সামিল হবেন সাধারন মানুষ।'
এর আগে, সিপিআই(এম)-র পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ভাবেই বিতর্ক তৈরি করছেন রাজ্যপাল। রাজ্য সম্পাদক গোবিন্দন বলেন, 'রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপালকে মন্ত্রিসভার পরার্মশ নিয়ে চলতে হয়। কিন্তু এই রাজ্যপাল আরএসএস (RSS)-র পরামর্শে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভাঙার চেষ্টা করছেন। গোটা রাজ্যের মানুষ তাঁকে বুঝিয়ে দেবেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না!'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন