
কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা, নারী সম্মান প্রকল্প, সঞ্জীবনী প্রকল্প সহ মোট ১৫টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আপ তাদের ইশতেহারে। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে পুনরায় জয় লাভ করলে এই সমস্ত প্রতিশ্রুতি পালন করবে আম আদমি পার্টি। এমনটাই জানালেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
মোদীর 'ভুয়ো' গ্যারান্টি নয়, দিল্লির মানুষের ভরসা হবে 'কেজরিওয়ালের গ্যারান্টি'। বিধানসভা নির্বাচনে এই স্লোগানকে সামনে রেখেই জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে আপ। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন। তার এক সপ্তাহ আগে ইশতেহার প্রকাশ করেছে আপ।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, 'আমি চাই দিল্লিতে যেন কেউ বেকার না থাকে। আমাদের সন্তানরা অনেক পড়াশোনা করেও যখন চাকরি না পায় তখন খুবই কষ্ট হয়। সেই জন্যই কর্মসংস্থানের উপর জোর দিচ্ছি আমরা'।
ইশতেহারে থাকা ১৫টি গ্যারান্টির মধ্যে রয়েছে -
কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা, নারী সম্মান প্রকল্প (প্রতিটি মহিলার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাসিক ২১০০ টাকা করে ভাতা), সঞ্জীবনী প্রকল্প (৬০ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা), জল বিলে ছাড়, ২৪ ঘন্টা জল সরবরাহ, ইউরোপের মতো রাস্তা, যমুনা নদী পরিষ্কার রাখা, ডঃ আম্বেদকর বৃত্তি প্রকল্প, ছাত্রদের জন্য বিনামূল্যে বাস ভ্রমণ, দিল্লি মেট্রোতে ছাড়, পুরোহিত এবং গ্রন্থিরা প্রত্যেকে ১৮,০০০ টাকা পাবেন, ভাড়াটিয়াদের জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ এবং জল, নিকাশি ব্যবস্থা মেরামতের কাজ, রেশন কার্ড, অটো-ট্যাক্সি এবং ই-রিকশা চালকদের মেয়ের বিয়ের জন্য ১ লক্ষ টাকা, শিশুদের জন্য বিনামূল্যে কোচিং এবং জীবন বীমা। এছাড়া আর ডব্লিউ এ (আবাসিক কল্যাণ সমিতি) -কে বেসরকারী নিরাপত্তারক্ষী প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, শুধু বিধানসভা নির্বাচনে নয়, গত লোকসভা নির্বাচনেও এই ধরণের ১০ গ্যারান্টির কথা আপের ইশতেহারে তুলে ধরা হয়েছিল। যার মধ্যে ছিল - সকলের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা, মহল্লা ক্লিনিক, ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ পরিষেবা, চীন অধিকৃত জমি মুক্ত করা, অগ্নিবীর প্রকল্প বন্ধ করা, কৃষকদের এমএসপি নিশ্চিত করা, দিল্লিকে রাজ্য করা হবে, কর্মসংস্থান, দুর্নীতি দমন এবং জিএসটি-র সরলীকরণ। যদিও লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে একটিও আসন জিততে পারেনি আপ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন