'কয়েকজনকে জেলে পাঠালেই বার্তা পৌঁছবে!' শস্যের গোড়া পোড়ানো নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি সুপ্রিম কোর্টের

People's Reporter: শুনানিতে আদালত বান্ধব অপরাজিতা সিং বলেন, “২০১৮ সাল থেকে আদালত বহু নির্দেশ দিয়েছে। তবু কৃষকরা নানা অজুহাত দেখান।”
সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্টফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

দিল্লির ভয়াবহ দূষণজনিত অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতির পেছনে প্রতিবছর অক্টোবর-নভেম্বর মাসে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় ফসলের গোড়া পোড়ানোকে প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হয়। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, কেন কৃষকদের বিরুদ্ধে শাস্তির কড়ানীতির কথা ভাবা হচ্ছে না? প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কে. বিনোদ চন্দ্রানের বেঞ্চ এই মন্তব্য করেছে।

শুনানিতে আদালত বান্ধব অপরাজিতা সিং তুলে ধরেন যে, কৃষকদের সমস্যার সমাধানের জন্য ভর্তুকি, যন্ত্রপাতি এবং বিকল্প পদ্ধতি গৃহীত হয়েছে, তবু বাস্তবে মাঠে এগুলো কার্যকরী হচ্ছে না। তিনি আদালতকে বলেন, “২০১৮ সাল থেকে আদালত বহু নির্দেশ দিয়েছে। তবু কৃষকরা নানা অজুহাত দেখান — কখনও বলেন স্যাটেলাইট নজরদারির সময় নয় এমন সময়ে পোড়াতে বলা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা অসহায়ত্বের কথা উল্লেখ করেন।”

প্রধান বিচারপতি এই অসহায়ত্বের যুক্তি বরাবরই গ্রহনযোগ্য মনে করেননি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “পরিবেশ রক্ষায় যদি সত্যিই সংকল্প থাকে, তাহলে শাস্তি ও দণ্ডব্যবস্থার দিকে কেন সজাগ হওয়া হচ্ছে না? কিছু উদাহরণ স্থাপন করলে সমষ্টিগতভাবে অন্যরাও শিক্ষা পাবে।” আদালত স্পষ্ট করে বলেছে, "কৃষকরা সমাজের বিশেষ অংশ! আমরা তাদের ওপরই নির্ভরশীল! তবে তাতে তাঁরা কোনো ধরনের আইনভঙ্গ করার অধিকার পাবেন না।"

পাঞ্জাব সরকারের পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট রাহুল মেহরা আদালতকে জানান, গত কয়েক বছরে খড় পোড়ানোর ঘটনা হ্রাস পেয়েছে ও এই প্রচেষ্টা চলমান আছে। তিনি বলেন, “তিন বছরের মধ্যে অনেক কিছু অর্জিত হয়েছে; এ বছর আরও উন্নতি হবে।” তিনি সতর্ক করে জানান যে পূর্বে এই ধরনের ঘটনায় গ্রেপ্তারও হয়েছে, তবে প্রায়শই অভিযুক্তরা ক্ষুদ্র কৃষক! অল্প জমির মালিক। তাঁদের যদি জেলে পুরে দেওয়া হয়, তবে তাঁদের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলির কী হবে?

এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি দ্ব্যর্থহীনভাবে জানান, নিয়মিতভাবে ক্ষুদ্র কৃষকদের অভিযুক্ত করা হবে না; কিন্তু “উদাহরণস্বরূপ” কয়েকজনকে কড়াভাবে দণ্ডিত করলে সেটিই অন্যদের জন্য কার্যকর শিক্ষা হিসেবে কাজ করবে।

দিল্লি সরকারের ও কেন্দ্রের পক্ষে অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি আদালতকে জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাজ্যের অবস্থা ও রিপোর্ট জমা পাওয়ার পর বিষয়টি পরবর্তী সপ্তাহে পুনরায় শুনানি করা উচিত। আদালতও সেই আবেদনে শিলমোহর দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট
আদানি সম্পর্কিত ১৩৮ ভিডিও, ৮৩ পোস্ট মুছে ফেলার নির্দেশ কেন্দ্রের! স্বাধীন সাংবাদিকতায় হস্তক্ষেপ?
সুপ্রিম কোর্ট
৭ বছরে ৪৩৪টি দুর্যোগ হিমাচলে! সুপ্রিম কোর্টের সতর্কবার্তা - সমগ্র হিমালয় অঞ্চল বিপন্ন

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in