
বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এনডিএ শিবিরের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে চূড়ান্ত দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা (HAM) প্রধান জিতন রাম মাঝি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দল-কে কমপক্ষে ১৫টি আসন না দিলে তাঁরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।
আগামী ৬ ও ১১ নভেম্বর বিহারে দু'দফায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে শাসক বিরোধী দুই শিবিরের আসন বন্টন নিয়ে টানাপোড়েন তুঙ্গে। জিতন রাম মাঝি বলেন, “আমরা এনডিএ নেতাদের কাছে আবেদন করছি কারণ আমরা অপমানিত বোধ করছি। আমাদের একটি সম্মানজনক আসন সংখ্যা প্রয়োজন, যাতে আমাদের দল হিসেবে স্বীকৃতি মেলে। যদি দাবি মত আসন না পাই, তাহলে আমরা নির্বাচনে লড়ব না। আমরা এনডিএ-কে সমর্থন করব, কিন্তু প্রার্থী দেব না। আমি মুখ্যমন্ত্রী হতে চাই না, শুধু চাই আমাদের দলকে মর্যাদা দেওয়া হোক।”
সূত্রের খবর, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা জিতন রাম মাঝিকে ফোন করে আসন সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি।
সূত্রের খবর, জনতা দল (ইউনাইটেড) ও বিজেপি প্রায় ১০০টি করে আসনে লড়তে পারে। মাঝির দলকে ১০টি আসন দেওয়া হতে পারে। লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস)–এর নেতা চিরাগ পাসোয়ানকে ২৪টি আসন এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা পার্টির নেতা উপেন্দ্র কুশওয়াহা-র দলকে ৬টি আসন দেওয়া হতে পারে।
যদিও বিহারের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এনডিএ আদৌ জিতন রাম মাঝির হ্যামকে ১৫ আসন ছাড়বে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ গত ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনে হ্যাম ৭ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৪টি আসনে জয়ী হয় এবং তাদের প্রাপ্ত ভোট ছিল ০.৮৯ শতাংশ। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ শরিক হিসেবে ১ আসন ভাগে পায় হ্যাম এবং সেই আসনে জয়ী হন জিতন রাম মাঝি।
শুধু জিতন রাম মাঝিই নন, সম্মানজনক আসনের দাবি করেছেন চিরাগ পাসোয়ান এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহাও। চিরাগ কমপক্ষে ৪৫টি আসনের দাবি করেছেন। উপেন্দ্র কুশওয়াহা ২০-২২টি আসনের দাবি জানিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন