
উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি দিয়ে ইস্তফার কথা জানিয়েছেন তিনি। ইস্তফা পত্রে কারণ হিসেবে স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। সোমবারও রাজ্যসভায় অধ্যক্ষ হিসাবে অধিবেশন পরিচালনা করেন তিনি।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে রাষ্ট্রপতিকে লেখা সেই চিঠি পোস্ট করেছেন মিঃ ধনখড়। ৭৪ বছরের এই রাজনীতিবিদ চিঠিতে লিখেছেন, "নিজের স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিতে চাই আমি। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলার জন্য সংবিধানের ৬৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগ করছি।"
চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সম্মানিত মন্ত্রী পরিষদের প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা এবং সমর্থন আমার কাছে অমূল্য। আমি আমার দায়িত্ব পালনকালে অনেক কিছু শিখেছি।" চিঠিতে তিনি রাষ্ট্রপতিকেও "তাঁর অটল সমর্থনের" জন্য ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে "হৃদরোগজনিত অসুস্থতার" কারণে মিঃ ধনখড়কে এইমসে ভর্তি করা হয়েছিল। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রেখে তাঁর চিকিৎসা হয়েছিল। এরপর গত মাসে, কুমায়ুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে গিয়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন।
২০২২ সালে অগস্ট মাসে উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্বগ্রহণ করেছিলেন ধনখড়। বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে ৩৪৬ ভোটে হারিয়ে ছিলেন তিনি। এখনও দুই বছর তাঁর ক্ষমতায় থাকার কথা ছিল।
ধনখড়ের আচমকা ইস্তফার সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ সোমবারও রাজ্যসভায় অধ্যক্ষ হিসাবে অধিবেশন পরিচালনা করেন তিনি। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্বাস্থ্যজনিত কারণ দেখিয়ে ইস্তফার কথা জানালেন তিনি।
আইনজীবী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। দীর্ঘ দিন রাজস্থানের হাইকোর্টে এবং পরে সুপ্রিম কোর্টে ওকালতি করেছেন তিনি। এরপর ১৯৮৯ সালে রাজস্থানের ঝুনঝুনু লোকসভা কেন্দ্র থেকে জনতা দলের টিকিটে লড়ে সাংসদ হন তিনি। ২০০৩ সালে বিজেপি যোগ দেন। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলে ছিলেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন