
সংসদে বাদল অধিবেশন (Monsoon Session) শুরুর দিনই বিপত্তি। সোমবার অধিবেশন শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। এরপরেই সংসদ থেকে বেরিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) সংবাদমাধ্যমের সামনে অভিযোগ করেন, সংসদে বিরোধীদের বলতেই দেওয়া হচ্ছে না। বিরোধীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ করেন তিনি।
এদিন অধিবেশন শুরুর আগে পহেলগাঁও হামলা এবং এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের উদ্দেশ্যে নীরবতা পালন করা হয়। এরপরেই সংসদে অপারেশন সিঁদুর ইস্যুতে আলোচনা চেয়ে সুর চড়ান বিরোধীরা। যার জেরে প্রথমে ১২টা পর্যন্ত দুই কক্ষের অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। পরে লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায় দুপুর দু'টো পর্যন্ত। এমনকি পহেলগাঁও হামলা নিয়ে আলোচনা চাইলে সেই সময় অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এরপরেই সংসদ কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে রাহুল গান্ধী সাংবাদিকদের বলেন, “প্রতিরক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারে থাকা লোকজন বক্তব্য রাখার সুযোগ পান। কিন্তু বিরোধীদের কথা বলতে দেওয়া হয় না। আমি বিরোধী দলনেতা, কথা বলার অধিকার রয়েছে। তা সত্ত্বেও আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি। সরকারের প্রতিনিধিদের যদি কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে বিরোধীদেরও দেওয়া উচিত। আমরা দুটি শব্দ বলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু বিরোধীদের অনুমতি দেওয়া হয়নি।"
রাহুল আরও বলেন, পহেলগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা এড়ানোর জন্য "এক সেকেন্ডের মধ্যে লোকসভা থেকে দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী"।
অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীর এই অভিযোগের পাল্টা তাঁকে নিশানা করেছে বিজেপি। সাংসদ মনোজ তিওয়ারি বলেন, "ওঁদের (বিরোধী) উদ্দেশ্যই হল অধিবেশন না চলতে দেওয়া। লোকসভার চেয়ারম্যান বারবার বলতে থাকেন যে প্রশ্নোত্তর পর্বের পরে অনুমতি দেওয়া হবে, কিন্তু তাঁরা বিরক্ত করতে থাকেন। বিরোধী দল একটি বিরক্তিকর উপাদানে পরিণত হয়েছে! মানুষ এই সব কিছুই দেখছে"।
বিজেপি নেতা জগদম্বিকা পালও রাহুলকে নিশানা করে বলেন, "আপনি দেখেছেন, আমি চেয়ার থেকে ক্রমাগত বলছিলাম, স্পিকার বলেছেন যে কোনও বিষয় উত্থাপিত হোক না কেন, সরকার উত্তর দিতে প্রস্তুত। কিন্তু যেভাবে এঁরা বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনটি কার্যকর হতে দেয়নি, তাতে মনে হচ্ছে এটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন