
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-কে তীব্র ভর্ৎসনা করলেন সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি (CJI) বি আর গাভাই। কেন্দ্রীয় সংস্থা কর্তৃক আইনজীবীদের তলব করা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ‘ইডি সমস্ত সীমা অতিক্রম করেছে’, বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
সম্প্রতি সিনিয়র আইনজীবী অরবিন্দ দাতার ও প্রতাপ ভেনুগোপালকে তলব করে ইডি। অভিযোগ, তদন্ত চলাকালীন এক মামলায় মক্কেলকে আইনি পরামর্শ দিয়েছিলেন ওই আইনজীবীরা। সেই কারণেই তাঁদের তলব করে ইডি। ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ইডি ওই সমন প্রত্যাহার করে নেয় এবং জানায়, ভবিষ্যতে কোনও আইনজীবীকে এইভাবে তলব করা হবে না।
বার অ্যাসোসিয়েশনগুলো এই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়ে আশ্নকা প্রকাশ করে জানায়, এমন পদক্ষেপ আইনি পেশার স্বাধীনতা এবং বিচারব্যবস্থার অখণ্ডতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, “ইডি কর্মকর্তারা সমস্ত সীমা অতিক্রম করছেন। এমন চলতে পারে না – এ বিষয়ে এখনই সুস্পষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োজন”।
এদিন প্রধান বিচারপতির মন্তব্যের জবাবে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা দাবি করেন, ইডির বিরুদ্ধে “সুপরিকল্পিতভাবে নেতিবাচক প্রচার” চালানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “অনুগ্রহ করে মিডিয়া সাক্ষাৎকার ও সংবাদে গুরুত্ব দেবেন না।” তবে তিনি স্বীকার করেন যে শুধুমাত্র আইনি পরামর্শের জন্য আইনজীবীদের তলব করা অনুচিত।
এর আগে, গত ২৫ জুন বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিং গুজরাটের একটি মামলার শুনানিতে একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন, “এটি শুধুমাত্র একজন আইনজীবীর বিষয় নয়। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে গোটা বিচারব্যবস্থার কার্যকারিতা এবং আইনজীবীদের সাহসিকতার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা।”
অন্যদিকে, পৃথক এক মামলায়, মুডা (মহীশুর নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) জমি কেলেঙ্কারি প্রসঙ্গে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতীকে তলব করায় ইডিকে পুনরায় তীব্র সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন