

বদলাতে চলেছে ১০০ দিনের কাজের সময় ও প্রকল্পের নাম। প্রকল্প থেকে মহাত্মা গান্ধীর নামই বাদ দিচ্ছে কেন্দ্র। এমনটাই অভিযোগ করছে কংগ্রেস। কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও।
চলতি শীতকালীন অধিবেশনে সোমবার কেন্দ্র সরকার মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা প্রকল্প (এমজিএনরেগা) বাতিল করে তার পরিবর্তে নতুন একটি বিল পেশ করেছে। নতুন বিলের নাম ‘বিকসিত ভারত গ্যারান্টি ফর রোজগার অ্যান্ড আজীবিকা মিশন (গ্রামীণ)’, সংক্ষেপে VBGRAMG।
বিলটি পাশ করাতে বিজেপি সাংসদদের সংসদে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়ে হুইপ জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, নতুন এই কাঠামো ‘বিকসিত ভারত ২০৪৭’ ভিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের নতুন দিশা দেবে। ১০০ দিনের বদলে ১২৫ দিন কাজ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে নয়া বিলে।
বিলে বলা হয়েছে, কাজ শেষ হওয়ার ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে মজুরি পরিশোধ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা না পেলে বেকার ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এছাড়া নতুন প্রকল্পের আওতায় কাজ চারটি বিভাগে ভাগ করা হবে। জল নিরাপত্তা, গ্রামীণ পরিকাঠামো, জীবিকা পরিকাঠামো এবং দুর্যোগ মোকাবিলা। কৃষিকাজের ব্যস্ত মরসুমে এই কাজ হবে না। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ও জিও-ট্যাগিং ব্যবহারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
নতুন 'VBGRAMG' প্রকল্পে কেন্দ্র দেবে ৬০ শতাংশ টাকা এবং রাজ্য দেবে ৪০ শতাংশ টাকা। উত্তর-পূর্ব ও হিমালয় অঞ্চলের রাজ্যগুলির জন্য এই অনুপাত হবে ৯০:১০, এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অর্থ দেবে কেন্দ্র। বছরে প্রস্তাবিত মোট ব্যয় ১.৫১ লক্ষ কোটি টাকা, যার মধ্যে কেন্দ্রের অংশ ৯৫,৬৯২ কোটি টাকা।
এই বিল নিয়েই প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেন, এই ধরনের বিল আনা মানে গান্ধীজির অপমান করা। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা প্রশ্ন করেন, কেন মহাত্মা গান্ধীর নাম মুছে ফেলা হচ্ছে? মহাত্মা গান্ধী কেবল দেশের নেতা নন, গোটা বিশ্ব তাঁকে সম্মান করে।
২০০৫ সালে ইউপিএ সরকারের আমলে চালু হওয়া এমজিএনরেগা গ্রামীণ এলাকায় বছরে ১০০ দিনের কাজের নিশ্চয়তা দেয় এবং গত দুই দশকে লক্ষ লক্ষ পরিবারের জীবিকা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন