

সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে আরও একবার রাহুল গান্ধীর কড়া আক্রমণের সামনে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার লোকসভার বিতর্কে অংশ নেবার পর সাংবাদিকদের সামনে বিরোধী দলনেতা ও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন ‘অধিবেশনে ভাষণ দেবার সময় তিনি চাপের মুখে ছিলেন’।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেস সাংসদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তিনি অপভাষার প্রয়োগ করেছেন, তাঁর হাত কাঁপছিল, আপনারা সবই দেখেছেন। সংসদ সাক্ষী, তিনি মানসিকভাবে চাপের মধ্যে ছিলেন। সারা দেশ তা দেখেছে।’ গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণকে ‘রক্ষণাত্মক’ বলে জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।
লোকসভার তাঁর আনা ‘ভোট চুরি’ অভিযোগ প্রসঙ্গে এদিন রাহুল গান্ধী দাবি করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খুবই চাপের মধ্যে ছিলেন। আমি যা দেখেছি যে তিনি কোনও তথ্যপ্রমাণ দেননি। আমরা সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রকাশ্যে যা বলেছি এবং আমি সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছি যে আমার সাংবাদিক সম্মেলন নিয়ে সংসদে আলোচনা হোক। কিন্তু তিনি কোনও উত্তর দেননি। আমি আমার চ্যালেঞ্জের কোনও উত্তর পাইনি। আপনারা সবই দেখেছেন।
এদিন কংগ্রেসের এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধীর এক ভিডিও পোষ্ট করে বলা হয়েছে, "গতকাল সংসদে অমিত শাহ খুব নার্ভাস ছিলেন। তাঁর হাত কাঁপছিল, এবং তিনি অশালীন ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। তিনি প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে আছেন—যেমনটি গতকাল গোটা দেশ প্রত্যক্ষ করেছে। 'ভোট চুরি' সম্পর্কে আমার মন্তব্যের কোনও উত্তর দেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আমি আমার সাংবাদিক সম্মেলনে অমিত শাহকে সরাসরি বিতর্কের জন্য চ্যালেঞ্জ করেছিলাম—তারও কোনও উত্তর পাইনি। আপনারা সবাই সত্যটা জানেন।"
প্রসঙ্গত, গতকালই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক এক্স বার্তায় (পূর্বতন ট্যুইটার) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘অসাধারণ’ বলে জানিয়েছিলেন। ওই বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের মাধ্যমে তিনি আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক এবং গণতন্ত্রের শক্তি তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি তিনি বিরোধীদের মিথ্যাচারও ফাঁস করেছেন।
অন্যদিকে বন্দেমাতরম বিতর্ক প্রসঙ্গেও এদিন আক্রমণের পথে হেঁটেছেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ। এক এক্স বার্তায় কংগ্রেসের যোগাযোগ বিষয়ক সাধারণ সম্পাদক রমেশ জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ‘তাঁর পুরো ব্রিগেড’ তাদের মিথ্যাচারের জন্য ‘ক্ষতবিক্ষত এবং উন্মোচিত’ হয়েছেন। রাজ্যসভার কংগ্রেসের চিফ হুইপ রমেশ বলেন, এটা স্পষ্ট যে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পুরো ব্রিগেড জাতীয় সঙ্গীত সম্পর্কিত দুটি সুনির্দিষ্ট এবং প্রামাণ্য গ্রন্থ পড়েননি। যা ভারতের দুই ইতিহাসবিদ রুদ্রাংশু মুখার্জি এবং সব্যসাচী ভট্টাচার্য লিখিত।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন