দূষিত জল পান করে ইন্দোরে মৃত্যু হল ৩ জনের। যদিও স্থানীয়দের দাবি এই ঘটনায় কমপক্ষে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দূষিত জল পান করে অসুস্থ অবস্থায় ১০০ জনের বেশি বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোরের ভাগীরথপুরা এলাকায়। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, মৃতদের নাম নন্দলাল পাল, ঊর্মিলা যাদব এবং তারা কড়ি। এঁদের সকলেরই বয়স ৬০ বা তার চেয়ে বেশি।
একাধিক সংবাদমাধ্যমে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলে জানানো হয়েছে। দ্য মিন্ট-এর প্রতিবেদন অনুসারে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন অনুসারে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। অন্যদিকে ইন্ডিয়া টিভি নিউজ জানিয়েছে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।
দূষিত জল পান করে অসুস্থ অবস্থায় যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাদের মধ্যে ৩৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এখনও ৬৬ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এই ঘটনার পরেই প্রশাসনিক স্তরে শোরগোল পড়েছে। ইতিমধ্যেই ভাগীরথপুরা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের এক জোনাল অফিসার এবং এক অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পিএইচই-র এক সাব ইঞ্জিনিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে হতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে দেবার কথা ঘোষণা করেছেন।
জলে দূষণ কীভাবে ঘটলো তা খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্যের এক কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যে কমিটির শীর্ষে আছেন একজন আইএএস।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে ভাগীরথপুরা অঞ্চলে নর্মদা পানীয় জল যাবার লাইনের ওপরেই একটি নর্দমা তৈরি করা হয়েছিল। যেখান থেকে লিকেজ হয়ে দূষিত জল পানীয় জলের সঙ্গে মিশে সেই জল বিষাক্ত হয়ে গেছে। জানা গেছে, তদন্তকারী আধিকারিকরাও কীভাবে পানীয় জলের লাইনের অপর নর্দমা তৈরি হয়েছে তাতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
ইন্দোরের মেয়র পুষ্যমিত্র ভারগব এই ঘটনা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন নর্দমা থেকে দূষিত জল পানীয় জলের লাইনে চলে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। জায়গাটি চিহ্নিত করে জরুরি অবস্থায় মেরামতির কাজ চলছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন