

চীনা সরকার অরুণাচল প্রদেশের ১৫টি জায়গার নাম বদলে দেবার পর, শুক্রবার কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে জানিয়েছে, 'নিষ্ক্রিয়তা এবং চীন কর্তৃক ভারতীয় ভূখণ্ডের জমি দখল ও নামকরণের পর নীরবতা লজ্জাজনক।' এই ইস্যুতে সরব হয়ে ট্যুইট করেছেন বর্ষীয়ান বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মনিয়াম স্বামীও।
রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, "চীন অরুণাচল প্রদেশের ১৫টি স্থানের 'নাম পরিবর্তন' করছে। স্যাটেলাইট ছবিতে সম্প্রতি দেখা গেছে চীন আমাদের ভূখণ্ডে দুটি গ্রামও তৈরি করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং তার বেইজিং জনতা পার্টির নেতারাও চীনের নামকরণের বিষয়ে চুপ করে আছেন। তারা যা করে তা হল চীনাদের এই জমি দখল প্রসঙ্গে মানুষকে বিভ্রান্ত করা এবং অস্বীকার করা।"
প্রসঙ্গত, চীন নতুন সীমান্ত আইন বাস্তবায়নের আগে চীন সরকার তার মানচিত্রে অরুণাচল প্রদেশের ১৫টি স্থানের নাম পরিবর্তন করার পর এই প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
চীনের অসামরিক বিষয়ক মন্ত্রক এক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে যে তারা চীনা মানচিত্রে ব্যবহার করার জন্য অরুণাচল প্রদেশের ১৫ টি স্থানের জন্য ‘প্রামাণ্য' নামকরণ করেছে।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার চীন অরুণাচল প্রদেশের কিছু স্থানের নাম পরিবর্তন করেছে। এর আগে ২০১৭ সালেও চীন ছয়টি স্থানের নাম পরিবর্তন করেছিল।
২৩শে অক্টোবর, চীনের শীর্ষ আইন প্রণয়ন সংস্থা ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটি "প্রোটেকশ্ন অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেশন অফ দ্য কান্ট্রিস ল্যান্ড বর্ডার এরিয়াস" উল্লেখ করে একটি নতুন আইন পাস করেছে। কমিটি জানিয়েছে যে নতুন আইনটি ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করা হবে।
যদিও এই আইন বিশেষভাবে ভারতের সাথে সীমান্তের জন্য নয়। চীন তার ২২,৪৫৭ কিলোমিটার স্থল সীমানা ভারত সহ ১৪টি দেশের সাথে ভাগ করে নিয়েছে। যা মঙ্গোলিয়া এবং রাশিয়ার সাথে সীমান্তের পরে তৃতীয় দীর্ঘতম।
নতুন সীমান্ত আইনে ৬২টি ধারা ও সাতটি অধ্যায় রয়েছে। আইন অনুসারে, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন তার সমস্ত স্থল সীমান্তে সীমানা চিহ্নিতকরণ করবে যাতে সীমানা স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়। চিহ্নিত করার ধরণ প্রসঙ্গে প্রাসঙ্গিক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে সহমত হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চীনের সাথে সরকারের এই সীমান্ত বিবাদ প্রসঙ্গ যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে তা নিয়ে সমালোচনা করেছে কংগ্রেস।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন