চিনকে রুখতে একজোট G7, গুটিকয়েক ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করার দিন শেষ - মন্তব্য চিনের

উইঘুর, অন্যদিকে, হংকং, কোভিড প্রভৃতি বিষয় নিয়ে G7 নেতৃত্বরা চিনকে নরমে গরমে বার্তা দিয়েছে। করোনা ভাইরাসের উৎস জানতে গবেষণা পদ্ধতি আরও স্বচ্ছ করার আবেদনও জানানো হয়েছে।
চিনকে রুখতে একজোট G7, গুটিকয়েক ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করার দিন শেষ - মন্তব্য চিনের
ছবি- সংগৃহীত

জি ৭ বৈঠকে চিনকে একহাত নিল বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলি। একধারে উইঘুর, অন্যদিকে, হংকং, কোভিড প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বিশ্ব নেতৃত্বরা চিনকে নরমে গরমে বার্তা দিল। করোনা ভাইরাসের উৎস জানতে গবেষণা পদ্ধতি আরও স্বচ্ছ করার আবেদনও জানানো হয়েছে। কারণ, দাবি করা হচ্ছে, উহানের ল্যাবরেটরি থেকেই করোনা ভাইরাসের উৎপত্তির সম্ভাবনা আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানী মহলে প্রায় খারিজ হওয়ার মুখে, তাই চিনকে যথাসম্ভব চাপে রাখতে এছাড়া উপায় নেই।

শুধু মহামারি সংক্রান্ত বিষয়ই নয়, চিনের সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতাকে সম্মান করার আবেদনও করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সেখানকার উইঘুর সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের কাহিনী সারা বিশ্ব জানে। এছাড়াও হংকংয়ে চিনের স্বায়ত্বশাসন নিয়েও সরব হয়েছে জি ৭-এ অংশগ্রহণকারী দেশগুলো। তাইওয়ানে শান্তি ও স্থায়ীত্ব বজায় রাখার কথা বলেছেন জি ৭-এর নেতারা।

এছাড়াও ক্রস স্ট্রেট ইস্যুগুলো নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বলা হয়েছে। পূর্ব ও দক্ষিণ চিন সাগরের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে উত্তেজনা প্রশমনের একতরফা প্রয়াসের তীব্র বিরোধিতা করেন বিশ্ব নেতারা। গত শনিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঝিনজিয়াঙের ক্যাম্পে বন্দি উইঘুর সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের জন্য চিনকে শাস্তি দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বেই শনিবার চিন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হয়। এবং একত্রিতভাবে সমস্ত বিশ্ব নেতাদের চিনের বিরুদ্ধে এককাট্টা হওয়ার ডাক দেন তিনি। সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে চিনের বহু হাজার কোটি টাকার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার কথাও বলা হয়।

তবে হাত গুটিয়ে নেই চিনও। ইতিমধ্যেই লন্ডনের চীবা দূতাবাসের এক কর্তা জানিয়েছেন- "সেই দিন চলে গিয়েছে। কয়েকটি দেশের ক্ষুদ্র গোষ্ঠী মিলে সারা বিশ্বের হয়ে সিদ্ধান্ত নিত। আমরা বরাবরই বিশ্বাস করে এসেছি সমস্ত দেশ, তারা ছোট হোক বা বড়, শক্তিশালী হোক বা দুর্বল, সকলেরই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সমান ক্ষমতা। ছোট কিছু গোষ্ঠী সারা বিশ্বের সিদ্ধান্ত নেবে, সেই দিন আর নেই।"

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in