পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হানাদারি এবং ২৬ জন নিরীহ পর্যটকের প্রাণহানির পর সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আহ্বান জানাতে চলেছে ইন্ডিয়া মঞ্চের অন্তর্গত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। কংগ্রেস, সিপিআইএম, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, সিপিআই, আরজেডি, মুসলিম লিগ, তৃণমূল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব এই বিষয়ে সহমত হয়েছেন। তাঁদের মতে এই মুহূর্তে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে পহেলগাঁও জঙ্গী হানার বিষয়ে আলোচনা করা উচিত।
এই বিষয়ে রাজ্যসভার নির্দল সাংসদ কপিল সিব্বাল এর আগে জানিয়েছিলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শাসক এবং বিরোধীদলের সাংসদদের এক প্রতিনিধিদলের বিভিন্ন দেশ সফর করে পাকিস্তানের ওপর কূটনৈতিক চাপ বাড়ানো উচিত। রবিবার সিব্বাল এক এক্স বার্তায় জানিয়েছেন, আমি সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন রাখছি, বর্তমান পরিস্থিতিতে মে মাসে যত দ্রুত সম্ভব সমস্ত রাজনৈতিক দলের উচিত সরকারের কাছে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আবেদন জানানো।
পহেলগাঁও হানাদারির পর গত বৃহস্পতিবার এক সর্বদলীয় বৈঠকে মুসলিম লিগের রাজ্যসভা সাংসদ হারিশ বীরান অবিলম্বে সংসদের দু’দিনের বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারের সর্বদলীয় বৈঠকে পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী হানার ঘটনায় নিরাপত্তার গাফিলতির কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে সরকার। যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে বার বার নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে কোনো কড়া ব্যবস্থাপনায় সমর্থন জানিয়েছে বিরোধীরা।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বৈসরণে পর্যটকদের যাত্রা সম্পর্কে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে কোনও তথ্য ছিলনা। নিরাপত্তা বাহিনী জানতোই না যে এবছর জুনের বদলে এপ্রিল মাসেই বৈসরণ উপত্যকা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
যদিও সরকারের এই দাবির সঙ্গে সহমত নয় বিরোধীরা। তাদের মতে, সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধীদের বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের প্রশ্ন, নিরাপত্তা বাহিনীর কোনও অনুমতি ছাড়াই কীভাবে নির্ধারিত সময়ের আগে বৈসরণ উপত্যকা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব? এই প্রসঙ্গে স্থানীয় ট্যুর অপারেটররা জানিয়েছেন, বছরের বেশিরভাগ সময়েই ওই এলাকা খোলা থাকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন