

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম ভারত সফরে এলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর সাথে বৈঠকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধাও জানান পুতিন।
রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিরোধিতা করে আনা প্রায় সমস্ত প্রস্তাবে ভারত নিরপেক্ষ থেকেছে। শুক্রবারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এর কারণ ব্যাখ্যা করলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান, "ভারত নিরপেক্ষ নয়। ভারত শান্তির পক্ষে। এটি শান্তির যুগ... আমি সম্পূর্ণরূপে আত্মবিশ্বাসী যে সাম্প্রতিক দিনগুলিতে যে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, তাতে বিশ্ব আবারও শান্তির দিকে ফিরে আসবে"।
নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, "ইউক্রেন সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে আমরাও একজন প্রকৃত বন্ধু হিসেবে, সময়ে সময়ে আমাদের সবকিছু সম্পর্কে অবহিত রেখেছি। আমি বিশ্বাস করি যে আস্থা একটি মহান শক্তি। শান্তির পথে জাতির কল্যাণ নিহিত। একসাথে, আমরা বিশ্বকে সেই পথে নিয়ে যাব"।
এছাড়া নরেন্দ্র মোদী বলেন, "আপনার (ভ্লাদিমির পুতিন) সফরের ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। ২০০১ সালে, যখন আপনি প্রথমবারের মতো দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন এবং ভারত সফর করেছিলেন, তখন থেকে পঁচিশ বছর হয়ে গেছে। সেই মুহূর্তটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী এবং স্থায়ী কৌশলগত অংশীদারিত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছিল"।
তিনি আরও বলেন, "ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য এটি আনন্দ এবং সম্মানের বিষয় যে আপনার সাথে আমার যোগাযোগও পঁচিশ বছর পূর্ণ করছে। ২০০১ সালে আপনি যে ভূমিকা পালন করেছিলেন তা একজন দূরদর্শী নেতার চিন্তাভাবনা এবং কাজ করার প্রতিফলন ঘটায়। ভারত-রাশিয়া সম্পর্কের শক্তি এবং গভীরতা সেই দৃষ্টিভঙ্গির প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে"।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন