

নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রণয়নের পর, ভারতের বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্র নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলোর কোনও লেকচার শুনতে রাজি নয় দেশ। ভারতে থেকে ব্যবসা করতে হলে ভারতের আইন মানতেই হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
সিমবায়োসিস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বক্তৃতা পেশ করার সময় প্রসাদ জানান, যে আইনগুলো নতুন লাগু করা হয়েছে, সেগুলো প্রাথমিকভাবেই প্রয়োজন। সুতরাং আমেরিকার লাভজনক সংস্থাগুলোর প্রয়োজন নেই এই ধরনের বাকস্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের উপর লেকচার দেওয়ার।
তিনি আরও বলেন, 'ভারতে স্বচ্ছভাবে নির্বাচন হয়, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা রয়েছে, মিডিয়া রয়েছে, সুধি সমাজ রয়েছে। এখানে আমি পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতি ও তাদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি। এটাই সত্যিকারের স্বাধীনতা। সুতরাং, গণতন্ত্র নিয়ে কেউ যেন কোনও আলটপকা মন্তব্য না করেন।'
আইনমন্ত্রী বলেন, নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইন সোশ্যাল মিডিয়অর ব্যবহার নিয়ে কোনও কথা বলেনি। কিন্তু সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার ও ভুল ব্যবহার রুখতে ব্যবস্থা নিয়েছে। নতুন আইনে গ্রাহকদের অসন্তোষ ব্যক্ত করা সহজ হবে। সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর বিষয়বস্তু নির্ধারণের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম আনা হয়েছে।
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারের মত প্ল্যাটফর্মগুলোকে আরও বেশি বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। যাতে আইন অনুসারে বিতর্কিত কোনও পোস্ট সহজেই মুছে ফেলা যায়। সম্প্রতি, নতুন নিয়ম মানতে না চাওয়ায় ভারতে টু্ইটারের আইনী রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন