
মহারাষ্ট্রে পুর নির্বাচনের প্রাক্কালে আরও একবার বেসুরো গাইলেন এনসিপি (শারদ পাওয়ার) গোষ্ঠীর প্রধান শারদ পাওয়ার। রাজ্যে মহা বিকাশ আঘাদির (এমভিএ) অভ্যন্তরে চলা বিতর্ক উসকে দিয়ে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শারদ পাওয়ার বলেন, ইন্ডিয়া মঞ্চ তৈরি হয়েছে শুধুমাত্র লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে। পুরসভা বা রাজ্যের কোনও নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে এমভিএ তৈরি হয়নি। সম্প্রতি মহা বিকাশ আঘাদির অন্য শরিক শিবসেনা (ইউবিটি)র পক্ষ থেকে জানানো হয় তারা আসন্ন পুর নির্বাচনে এককভাবে লড়াই করবে।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার জানান, যখন ইন্ডিয়া মঞ্চ তৈরি হয় তখন শুধুমাত্র লোকসভা নির্বাচনে এবং জাতীয় ইস্যুর কথাই ভাবা হয়েছিল। সেইসময় পুর নির্বাচন অথবা রাজ্যের অন্য কোনও নির্বাচনের কথা ভাবা হয়নি।
পাওয়ার এদিন আরও বলেন, মহারাষ্ট্রের আসন্ন পুর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে আগামী ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এমভিএ-র সমস্ত রাজনৈতিক দল আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে এই নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়া যায় কিনা। আমরা জোট শরিকরা এই বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালাচ্ছি।
আসন্ন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন শারদ পাওয়ার কংগ্রেসের উল্টো সুরে কথা বলে জানান, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আমরা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়াবো।
মহারাষ্ট্রের পুর নির্বাচন আসন্ন। কিছু দিনের মধ্যেই বৃহনমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি)-র নির্বাচন। যে নির্বাচনে ইতিমধ্যেই একক শক্তিতে লড়বার কথা ঘোষণা করেছে শিবসেনা ইউবিটি। প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সাল থেকে এই পুরসভা অবিভক্ত শিবসেনার দখলে ছিল। এবার শিবসেনা এবং এনসিপি দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাবার পর নির্বাচনী ফলাফল কী হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ, লোকসভা নির্বাচনে মহা বিকাশ আঘাদির ফল ভালো হলেও বিধানসভা নির্বাচনে এই জোট সম্পূর্ণ মুখ থুবড়ে পড়ে। কংগ্রেস, শিবসেনা (ইউবিটি) এবং এনসিপি (এসপি) আসন পায় যথাক্রমে ১৬, ২০ এবং ১০টি। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হবার পরেই শিবসেনা ইউবিটি-র গোষ্ঠীর কিছু নেতা আসন্ন পুরসভা নির্বাচনে জোট গড়ে না লড়াই করে একক শক্তিতে লড়াই করার পক্ষে সওয়াল করেন।
অন্যদিকে, সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে শারদ পাওয়ারের আরএসএস স্তুতি নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক গুঞ্জন। এছাড়াও সম্প্রতি অজিত পাওয়ারের মা সম্প্রতি মন্তব্য করেন, তাঁর ইচ্ছা, পুরো পাওয়ার পরিবার আবার এক ছাদের তলায় ফিরে আসুক। যে বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলের অনুমান, আবারও এনসিপি এবং এনসিপি (এসপি) একজোট হতে পারে। সেক্ষেত্রে বদলাতে পারে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমীকরণ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন