

ফের একবার ব্যালট পেপারে ভোট করানোর আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করে, নির্বাচনে জিতলে ইভিএম ঠিক আছে আর পরাজিত হলেই ইভিএম-এ কারচুপি! এটা কেন হবে?
ইভিএম-র বদলে ব্যালট পেপারে ভোট করানোর আর্জি নিয়ে শীর্ষ আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন কে এ পল নামের এক ব্যক্তি। আদালতে তিনি জানান, গণতন্ত্র রক্ষা করতে ইভিএমের বদলে ব্যালট পেপার ফিরিয়ে আনা উচিত। চন্দ্রবাবু নাইডু এবং জগন মোহন রেড্ডির মতো রাজনৈতিক নেতারাও ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি পিবি ভারালের বেঞ্চ জানায়, যখন চন্দ্রবাবু নাইডু বা জগন মোহন রেড্ডি পরাজিত হন তখন অভিযোগ করেন ইভিএম-এ কারচুপি করা হয়েছে। কিন্তু জিতে গেলে কোনও অভিযোগই করেন না। এটা আমরা কীভাবে বিচার করব? আমরা এই আর্জি খারিজ করলাম। আদালতে এই ধরণের বিতর্ক করা যায় না।
মামলাকারী তাঁর আবেদনে আরও জানান, বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর ও আধুনিক দেশ আমেরিকাতেও ব্যালটে ভোট করানো হয়। এমনকি এলন মাস্কের মতো একজন ব্যক্তি তিনিও ইভিএম-এ কারচুপি হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তাহলে ভারতে কেন ব্যালটে ভোটগ্রহণ সম্ভব নয়?
কে এ পল বলেন, আমি বিশ্বের ১৫৫টি দেশে ঘুরেছি। সেখানে ব্যালটেই ভোট করানো হয়। বিশ্বের ১৯৭টি দেশের মধ্যে ১৮০টি দেশেই এখনও ব্যালটেই ভোটগ্রহণ হয়। গণতান্ত্রিক দেশ মানেই সেখানে ব্যালট পেপারে ভোট হবে। স্বৈরতান্ত্রিক দেশে ব্যালটের প্রয়োজন নেই। আমার আর্জি কোনও রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নয়। আমি গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আবেদন করছি।
দুই বিচারপতির বেঞ্চ আরও জানায়, বিশ্বের অন্য দেশের থেকে আপনি পৃথক হতে চান না? এই মামলা খারিজ করা হল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন