

চলতি ইন্ডিগোর বিমান সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল দিল্লি হাইকোর্ট। পাশাপাশি এক ধাক্কায় ভাড়া বেড়ে প্রায় ৪০ হাজার হওয়া নিয়েও কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করেছে আদালত। যাত্রীদের সুবিধার কথা না ভেবে কীভাবে বিমান সংস্থাগুলি বিপুল পরিমাণ ভাড়া বৃদ্ধি করার অনুমতি পেল তার জবাব চেয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
গত কয়েকদিন ধরেই ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। বুধবারও প্রচুর বিমান বাতিল হয়েছে। আর এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য এয়ারলাইনগুলি অতিরিক্ত ভাড়া নির্ধারিত করে। বিচারপতি গেদেলা প্রশ্ন করেন, “যদি সংকট ছিল, অন্যান্য এয়ারলাইন কীভাবে সুযোগ নিল? ভাড়া ৩৫ হাজার থেকে ৩৯ হাজার টাকা পর্যন্ত কীভাবে পৌঁছল? এটি কীভাবে ঘটতে পারে?”
ইন্ডিগোর বিপর্যয়ের ফলে চাহিদা হঠাৎ বৃদ্ধি পায় এবং অন্যান্য এয়ারলাইনের টিকিটের দাম দ্বিগুণ-তিগুণ হয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় যাত্রীরা অন্য এয়ারলাইনে বুকিং করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। মুম্বই-দিল্লি রুটে ইকোনমি ক্লাসের ভাড়া ৩৫ হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়। যেখানে সাধারণ সময়ে শেষ মুহূর্তের রিটার্ন টিকিটও প্রায় ২০ হাজারে পাওয়া যায়।
কেন্দ্র যে পদক্ষেপ নিয়েছে, আদালতে তার তালিকা পেশ করেন অ্যাডিশনাল সলিসিটার জেনারেল। তবে আদালত মন্তব্য করে, “এই পদক্ষেপগুলো সংকটের পর নেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হলো, এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হলই বা কেন? আগে কী করছিলেন?”
আদালত আরও প্রশ্ন করে, “লক্ষ লক্ষ যাত্রী বিমানবন্দরে বিপাকে পড়লেন। শুধু যাত্রীর অসুবিধাই নয়, দেশের অর্থনীতিও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কারণ দ্রুত যাতায়াত আজ অর্থনীতির একটি অপরিহার্য অংশ। যাত্রীদের ক্ষতিপূরণের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? পরিষেবা প্রদানকারীদের কর্মীরা যাতে দায়িত্বশীল আচরণ করেন, তার জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?”
সংকটের পর কেন্দ্র ইন্ডিগোর ওপর কড়াকড়ি শুরু করেছে। ডিজিসিএ শীতকালীন সময়সূচি থেকে ইন্ডিগোর ৫% ফ্লাইট কমিয়ে দিয়েছে। দৈনিক প্রায় ২,২০০ ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইনের ক্ষেত্রে এটি প্রতিদিন ১১০টির মতো ফ্লাইট কমানো হচ্ছে। ফাঁকা স্লটগুলিতে অন্য এয়ারলাইনগুলিকে বরাদ্দ করা হবে।
কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী কে রাম মোহন নাইডু সংসদে বলেন, “দেশের বিমানবন্দরগুলিতে এখন স্বাভাবিক অবস্থায় কাজ চলছে। রিফান্ড, লাগেজ ট্রেসিং এবং যাত্রী সহায়তার বিষয়গুলি মন্ত্রণালয় নজরে রাখছে। ডিজিসিএ ইন্ডিগোর সিনিয়র নেতৃত্বের বিরুদ্ধে শোকজ জারি করেছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন