বুধবার সন্ধ্যায় আর্থিক তছরূপের মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্বারস্থ হলেন সোরেন।
সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিব্বাল এবং অভিষেক মনু সিংভি, জেএমএম নেতার হয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন। আদালত এই আবেদন গ্রহণ করেছেন। জানা গেছে, প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুক্রবার এই মামলার শুনানি হবে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যাতেই রাঁচি হাইকোর্টে এই বিষয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন হেমন্ত সোরেন। তাঁর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, যেহেতু এখানে মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে, তাই রাঁচি হাইকোর্ট থেকে মামলাটি তুলে নেওয়া হবে।
তবে এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তাঁর প্রশ্ন, কেন রাঁচী হাই কোর্টে মামলা থাকা সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানালেন হেমন্ত?
উল্লেখ্য, ৬০০ কোটির জমি কেলেঙ্কারি মামলার সাথে যুক্ত একটি অর্থ পাচার মামলায় বুধবার টানা সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর হেমন্ত সোরেনকে হেফাজতে নিয়েছে ইডি। সোরেন ইডি অফিসারদের আগেই জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই অ্যারেস্ট মেমোতে সই করবেন তিনি। সেই মতো তাঁকে সাথে নিয়েই রাজভবনে যান ইডি অফিসাররা। সেখানে ইস্তফা দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ ঝাড়খণ্ড জুড়ে বনধ ডেকেছে একাধিক আদিবাসী সংগঠন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।