

আগামী ৬ নভেম্বর বিহারে প্রথম দফার বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে একযোগে আক্রমণ করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা রাহুল গান্ধী। নরেন্দ্র মোদীকে কার্যত পুতুলের সাথে তুলনা করলেন তিনি।
বুধবার মুজাফ্ফরপুরে আরজেডি নেতা ও মহাগঠবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবের সঙ্গে যৌথভাবে সভা করেন রাহুল গান্ধী। ওই সভাতে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “ভোটের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সব কিছু করতে পারেন। আপনি যদি বলেন ভোটের বিনিময়ে নাচুন, তিনি মঞ্চেই নাচবেন।”
নীতিশ কুমারকে কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, "বিগত ২০ বছর রাজ্যের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রী কিছুই করেননি। নীতিশজির মুখ শুধু ব্যবহার হচ্ছে। রিমোট কন্ট্রোল রয়েছে বিজেপির হাতে। পিছিয়ে পড়া মানুষের কণ্ঠ সেখানে শোনা যায় না। আমরা এমন এক সরকার গড়ব, যেখানে থাকবে সব শ্রেণি, সব জাতি ও সব ধর্মের মানুষ। কাউকে পিছনে ফেলে যাব না।"
বিহারেও ভোট চুরি নিয়ে সরব হলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, "ওরা মহারাষ্ট্রে নির্বাচন চুরি করেছে, হরিয়ানাতেও করেছে এবার বিহারেও করার চেষ্টা করবে।"
এমনকি ছট পুজোতে 'নকল যমুনা' নদীতে প্রধানমন্ত্রীর স্নানের পরিকল্পনা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস সাংসদ। তিনি বলেন, "সাধারণ বিহারীদের দূষিত যমুনার জলে ছটপুজো করতে হচ্ছে, আর নরেন্দ্র মোদী তাঁর সুইমিং পুলে স্নান করতে চাইছিলেন। আসলে যমুনার সাথে এবং ছট পুজোর সাথে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি কেবল আপনাদের ভোট চান।"
এখানেও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতির প্রশ্ন তুলে মোদীকে নিশানা করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, "মোদী ট্রাম্পকে ভয় পান। পরের বার যখন তিনি বিহারে প্রচারে আসবেন তখন তাঁকে বলতেই হবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধ করার বিষয়ে মিথ্যা দাবি করেছেন।’’
অন্যদিকে, রাহুলের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস নেতা বিহারবাসীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। এক্স–এ তিনি লেখেন, “রাহুল গান্ধী ছটী মাইয়া এবং কোটি কোটি ভক্তের বিশ্বাসকে অপমান করেছেন। তিনি সনাতন ধর্ম, লোকউৎসব এবং বিহারের সংস্কৃতির বিরোধী। তাঁর মনের তিক্ততা বক্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে। এটি নিন্দনীয়।”
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন