বিকশিত ভারত গ্যারান্টি ফর এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড লাইভলিহুড মিশন (রুর্যাল) বিল (G RAM G) নিয়ে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের বাইরে রাতভর ধর্নায় শামিল হলেন বিরোধী সাংসদরা। লোকসভার পরে গতকালই রাজ্যসভাতেও এই বিল পাশ হয়েছে। যাকে ইউপিএ-১ সরকারের আমলে তৈরি করা মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুর্যাল এমপ্লয়মেন্ট অ্যাক্ট (MGMREGA) বদলি হিসেবে সংসদে পেশ করেছে বর্তমান শাসক গোষ্ঠী।
শুক্রবার সকালে কংগ্রেসের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন ট্যুইটার) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মোদী সরকার শুধু যে মনরেগা থেকে মহাত্মা গান্ধীর নামই মুছে ফেলছে তা নয়, বরং শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রও করছে। বিরোধী দলের সাংসদরা আজ সংসদ ভবনে এই সরকারি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গান্ধীর চিন্তাভাবনা এবং আদর্শ ভারতের মাটিতে গভীরভাবে প্রোথিত; এই সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন, গান্ধীর নাম মুছে ফেলতে পারবে না।”
বিকশিত ভারত গ্যারান্টি ফর এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড লাইভলিহুড মিশন (রুর্যাল) বিল (G RAM G) নিয়ে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনের বাইরে রাতভর ধর্নায় শামিল হলেন বিরোধী সাংসদরা। লোকসভার পরে গতকালই রাজ্যসভাতেও এই বিল পাশ হয়েছে। যাকে ইউপিএ-১ সরকারের আমলে তৈরি করা মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুর্যাল এমপ্লয়মেন্ট অ্যাক্ট (MGMREGA) বদলি হিসেবে সংসদে পেশ করেছে বর্তমান শাসক গোষ্ঠী।
শুক্রবার সকালে কংগ্রেসের এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন ট্যুইটার) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মোদী সরকার শুধু যে মনরেগা থেকে মহাত্মা গান্ধীর নামই মুছে ফেলছে তা নয়, বরং শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্রও করছে। বিরোধী দলের সাংসদরা আজ সংসদ ভবনে এই সরকারি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গান্ধীর চিন্তাভাবনা এবং আদর্শ ভারতের মাটিতে গভীরভাবে প্রোথিত; এই সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন, গান্ধীর নাম মুছে ফেলতে পারবে না।”
বিরোধীদের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই বৃহস্পতিবার লোকসভায় এই বিল পাশ করানো হয়। এদিনই রাজ্যসভায় এই বিল নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর গভীর রাতে বিরোধীদের ওয়াক আউট এবং আপত্তির পর ধ্বনি ভোটে বিল পাশ হয়। বিরোধী সাংসদরা এই বিল স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে পাঠানোর দাবি জানালেও তা অগ্রাহ্য করা হয়। পরে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই বিল প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়।
গতকাল রাজ্যসভায় কংগ্রেস সভাপতি তথা সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রস্তাবিত বিল নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, এই বিল গরিব মানুষদের সম্পূর্ণ শেষ করে দেবে এবং এই বিল প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, “আপনারা গরিব মানুষের সামনে ‘রাম রাম’ বলছেন কিন্তু পেছনে আপনাদের হাতে ধরা ছুরি লুকিয়ে রেখেছেন।” গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “চৌহানজী, আবারও ভাবুন। এখনই সময় আছে, এই আইন প্রত্যাহার করুন। এখনও সময় আছে।”
খাড়গে আরও বলেন, আমার যখন ৬-৭ বছর বয়স তখন আমার মা মারা গেছেন। আমি তাঁর নামে শপথ করে বলছি – এই আইন গরিবদের জন্য ভালো হবেনা। আমি আমার মায়ের নামে, ভারতমাতার নামে শপথ করে বলছি, এই আইন গরিবদের জন্য ভালো নয়।
নতুন এই বিল প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরম সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, এই বিল নিশ্চয়তা শেষ করে দেবে, জীবন জীবিকা শেষ করে দেবে, নিরাপত্তা শেষ করে দেবে। এই বিলে কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই বিলে গরিব মানুষের জীবন জীবিকা নিয়ে কোনও বিষয় নেই। দিনের শেষে এই বিলে গরিব মানুষের কোনও নিরাপত্তা নেই।
একাধিক বিষয়ে নতুন এই বিল নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে বিরোধীরা। যেমন বর্তমান বিলে পূর্ব-অনুমোদিত পরিকল্পনার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই কর্মসূচির লক্ষ্য মানুষের চাহিদা থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আগে শ্রমিকরা কাজের প্রয়োজন হলে গ্রাম পঞ্চায়েতে আবেদন করতে পারতেন, কিন্তু এখন কাজ থাকলেই শুধুমাত্র তাঁরা কাজ পাবেন।
নতুন আইনে কাজকে চারটি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে। জল নিরাপত্তা, মূল গ্রামীণ পরিকাঠামো, জীবিকা-সম্পর্কিত সম্পদ এবং জলবায়ু সহনশীলতা। সমালোচকরা বলেছেন যে এটি কাজের পরিধিকে সীমিত করে, যা আগে স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী পঞ্চায়েত ঠিক করতো।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন