
দেশের পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের অসুবিধার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। চিঠিতে তিনি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য হস্টেল পরিকাঠামোর করুণ অবস্থা এবং ম্যাট্রিক-পরবর্তী বৃত্তি প্রদানে অধিক সময়ের অভিযোগ করেছেন।
চিঠিতে রাহুল গান্ধী লেখেন, “এই দুই সমস্যা প্রান্তিক সম্প্রদায়ের অন্তত ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষার পথ রুদ্ধ করছে। এদের মধ্যে রয়েছেন দলিত, তফসিলি উপজাতি, ইবিসি, ওবিসি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা।”
তিনি উল্লেখ করেন, বিহারের দারভাঙ্গায় অবস্থিত আম্বেদকর হোস্টেল পরিদর্শনের সময় তিনি দেখেছেন একাধিক শিক্ষার্থীকে একটি ঘরেই থাকতে হচ্ছে। শৌচাগারগুলি অস্বাস্থ্যকর, পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই, মেস নেই, এমনকি শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় লাইব্রেরি বা ইন্টারনেট ব্যবস্থাও অনুপস্থিত।
রাহুল গান্ধী লেখেন, “ম্যাট্রিক-পরবর্তী বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বিহারে গত তিন বছর ধরে বৃত্তি পোর্টাল কার্যকর নয়, ফলে ২০২১-২২ অর্থবছরের বৃত্তি এখনও কেউ পায়নি।”
তিনি জানান, ২০২৩ অর্থবর্ষে যেখানে ১.৩৬ লক্ষ দলিত শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছিলেন, ২০২৪ অর্থবছরে সেই সংখ্যা নেমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬৯ হাজারে।
চিঠিতে রাহুল গান্ধী দুটি প্রধান পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন -
১. দেশের সমস্ত প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের হোস্টেলগুলির পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা করে স্যানিটেশন, খাদ্য, বাসস্থান ও শিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণ।
২. সময়মতো এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাট্রিক-পরবর্তী বৃত্তি বিতরণ, বৃত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি এবং রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা আনা।
চিঠির শেষে তিনি লেখেন, “আমি নিশ্চিত আপনি (প্রধানমন্ত্রী) একমত হবেন যে, প্রান্তিক সম্প্রদায়ের যুব সমাজ অগ্রসর না হলে ভারতও অগ্রসর হতে পারবে না।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন