
• আমেরিকার এক বিমানবন্দরে ভারতীয় এক যুবকের সঙ্গে অমানবিক আচরণের অভিযোগ।
• বিষয়টি প্রথম এক্স হ্যান্ডেলে এক ভিডিও পোষ্টে করে জানান কুণাল জৈন নামের এক অনাবাসী ভারতীয়।
• এই ঘটনায় মুখ খুলেছে ভারতীয় কনস্যুলেট। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
• ঘটনার পর মোদী সরকারকে লক্ষ্য করে আক্রমণ কংগ্রেসের।
বিমানবন্দরে ফেলে ভারতীয় যুবককে পিছমোড়া করে বেঁধে তাঁর হাতে হাতকড়া পরানো হচ্ছে। সম্প্রতি আমেরিকার এক বিমানবন্দরে এক ভারতীয় যুবকের সঙ্গে এহেন অমানবিকা আচরণ করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মার্কিন অভিবাসন আধিকারিকদের এহেন আচরণের ভিডিও ঘিরে শোরগোল শুরু হতেই এই বিষয়ে মুখ খুলল ভারতীয় কনস্যুলেট। অন্যদিকে, ভারতীয় যুবকের উপর এহেন আচরণ ঘিরে মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে এই বিষয়ে তাঁর হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছে কংগ্রেস।
গত রবিবার কুণাল জৈন নামক এক অনাবাসী ভারতীয় সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। (যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার) ওই অনাবাসী জানিয়েছেন, ওই ভারতীয় যুবককে নিউ জার্সির নেওয়ার্ক বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
তিনি লিখেছেন, “আমি দেখলাম ভারতীয় যুবকের হাতে হাতকড়া পরানো হয়েছে। তিনি কাঁদছেন। তাঁর সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হচ্ছে"। এরপরেই মার্কিন প্রশাসনের সমালোচনা করে লেখেন, “উনি (ভারতীয় যুবক) স্বপ্নপূরণ করতে এখানে এসেছিলেন, কারও ক্ষতি করতে নয়। অনাবাসী ভারতীয় হিসাবে অসহায় লাগছে"।
ভিডিওটি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই এনিয়ে মুখ খোলে ভারতীয় কনস্যুলেট। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখা হয়, "সোস্যাল মিডিয়ায় এমন পোস্ট আমাদের নজরে এসেছে যেখানে দাবি করা হয়েছে একজন ভারতীয় নাগরিক নেওয়ার্ক বিমানবন্দরে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। আমরা এই বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ভারতীয় নাগরিকদের সাহায্যের জন্য দূতাবাস সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ"।
অন্যদিকে, এই ইস্যুতে মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক্স হ্যান্ডেলে অভিযোগ করেছেন, "ভারত এবং ভারতীয়দের সম্মান রক্ষা করতে ব্যর্থ মোদী সরকার। ইতিহাসে এই প্রথম, ভারতের অনুপস্থিতিতে কোনও বিদেশী রাষ্ট্রপ্রধান ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতকে ক্রমাগত চাপ দিয়ে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করেছেন"।
তিনি আরও লেখেন, "গত এক বছর ধরে আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক এবং ছাত্রদের সঙ্গে বারবার দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এরপরেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নীরবতা পালন করছেন। অথবা ধরে নেওয়া হোক, তিনি কোনও কথা বলার সাহস পাচ্ছেন না"।
রমেশের দাবি, ভারত এবং ভারতীয়দের সম্মান রক্ষা একজন প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তিনি লেখেন, "আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে, আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গে যে দুর্ব্যবহার ও নৃশংসতা চলছে সে বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন"।
এদিকে কুণাল জৈনের পোস্ট ট্যাগ করে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা লেখেন, "এটা খুবই বেদনাদায়ক! অত্যন্ত অপমানজনক! একটি দেশ হিসেবে কেন আমরা এই অপমান সহ্য করব?"